শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চেষ্টা চালাব… সুপার সিক্সে ওঠার স্বপ্নে বুঁদ ইস্টবেঙ্গল কোচ

শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চেষ্টা চালাব… সুপার সিক্সে ওঠার স্বপ্নে বুঁদ ইস্টবেঙ্গল কোচ

বুধবার আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসি-কে হারিয়ে সুপার সিক্সে ওঠার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। এদিন ২-০-তে ম্যাচ জিতে এই প্রথম ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করল লাল-হলুদ বাহিনী। এর আগে পঞ্জাব এফসি এবং মহমেডান এসসি-র বিরুদ্ধে জিতেছিল তারা। পরপর তিন ম্যাচ জেতার ফলে তাদের সুপার সিক্সে ওঠার সম্ভাবনা বেঁচে থাকলেও, অত্যন্ত জটিল অঙ্কের উপর নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য।

মোহনবাগান, গোয়া, বেঙ্গালুরু এবং জামশেদপুর ইতিমধ্যে আইএসএলের সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে। এখন সুপার সিক্সের জন্য আর দু’টি জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সেই জায়গা দখলের লড়াইয়ে রয়েছে ছ’টি দল। লাল-হলুদের শেষ দু’টি কঠিন ম্যাচ। সেই ম্যাচে তারা বেঙ্গালুরু এফসি ও নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারাতে পারলে তাদের প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে ঠিকই, তবে ইস্টবেঙ্গলকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য ম্যাচের ফলের দিকেও।

তবে লাল-হলুদের কোচ অস্কার ব্রুজো দাবি করেছেন, শেষ দুই ম্যাচে জেতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে তাঁর দল। বুধবার ম্যাচের পর স্প্যানিশ কোচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগেও দলের বাইরে অনেকে বলেছিলেন আমাদের সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ। কিন্তু এখন দলের মধ্যে সবাই সেরা ছয়ে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘সপ্তাহ দুয়েক আগেও আমরা ১১ নম্বরে ছিলাম। তবে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। আমরা অবশ্যই সেরা ছয়ে উঠতে চাই। সে জন্য অন্যান্য ম্যাচের ফলের উপরও আমাদের নির্ভর করতে হবে। তবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা। তা সত্ত্বেও আমরা প্লে অফে খেলার যোগ্যতা নাও পেতে পারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করলে, সে জন্য আমরা অন্তত গর্বিত হতে পারব।’

হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে ২ গোল হয়। ৮৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হায়দরাবাদের মনোজ মহম্মদের। আর ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ লগ্নে একক দক্ষতায় ব্যবধান বাড়ান মেসি বাউলি। ম্যাচ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘এদিন আমাদের দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স আমাকে অবাক করেছে। এই ম্যাচে ছন্দে ফিরে আসাটা কঠিন ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। চার দিন আগেই ম্যাচ খেলেছি আমরা। তাই এদিন তরতাজা ভাবটা ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সমর্থকেরা যেভাবে আমাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন, তাতেই আমাদের ছেলেরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠে এবং এর ফলেই ফারাকটা তৈরি হয়ে যায়। আমার মনে হয়, দ্বিতীয়ার্ধে একটাই দলকে দেখা গিয়েছে এবং সেটা ইস্টবেঙ্গল।’

দ্বিতীয়ার্ধে দুই ফরোয়ার্ড রিচার্ড সেলিস ও ডেভিড লালনসাঙ্গা মাঠে আসার পর ম্যাচের ছবিটা ক্রমশ বদলে যেতে শুরু করে। এই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, ‘ডেভিড যখন দ্বিতীয়ার্ধে নামার আগে গা ঘামাচ্ছিল, তখন দিমি মাঠের ভিতর থেকে ইঙ্গিত করে, সে ক্লান্ত। তাই দিমির জায়গাতেই ডেভিডকে নামাই। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ও আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ও যখন মাঠে নামে, তখন ওকে বেশ ক্ষুধার্ত মনে হয়। ওর কোনও সমস্যা নেই। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করছে ও। আমাদেরও উজ্জীবিত করে ও।’

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মেসি বাউলিরও প্রশংসা করে কোচ বলেন, ‘আজ মেসিই ছিল আমাদের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। দলের পারফরম্যান্সে যথেষ্ট গভীরতা এনে দেয় ও। আমাদের দলে ভালো ভালো খেলোয়াড় থাকলেও তারা কেউ পারফরম্যান্সে গভীরতা এনে দিতে পারেনি, যা মেসি পেরেছে। মেসির মতোই একজন ফুটবলার আমাদের দলে প্রয়োজন ছিল।’

(Feed Source: hindustantimes.com)