Truck driver Rajesh Youtuber- ইউটিউবে সেই জীবনেরই ঝাঁপি খুলে বসেছেন রাজেশ রাওয়ানি। হ্যাঁ, ট্রাক চালানোর পাশাপাশি ভ্লগ করেন তিনি। তাঁর চ্যানেলের ১.৮৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
কলকাতা: ট্রাকেই তাঁর জীবন। ট্রাকেই তাঁর সংসার। তাতেই থাকেন, খাওয়াদাওয়া করেন, ঘুমোন। ট্রাকভর্তি মালপত্র নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেন। ডেলিভারি করেন। মাসের পর মাস এভাবেই কেটে যায়। এ এক অন্যরকম জীবন।
ইউ টিউবে সেই জীবনেরই ঝাঁপি খুলে বসেছেন রাজেশ রাওয়ানি। হ্যাঁ, ট্রাক চালানোর পাশাপাশি ভ্লগ করেন তিনি। তাঁর চ্যানেলের ১.৮৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ১৮.৬ লাখ। ইউটিউব থেকেই এখন প্রতি মাসে ২ লাখ টাকার বেশি রোজগার হয় তাঁর।
২৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন রাজেশ। এটা তাঁর পেশা হলেও রান্না তাঁর নেশা। বিভিন্ন পদ রাঁধতে ভালবাসেন। আর ভালবাসেন খেতে। এই শখকে পুঁজি করেই ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেছিলেন। এখন তাঁর জনপ্রিয়তা কোনও সেলেব্রেটির থেকে কম নয়।
নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম রাজেশের। নতুন বাড়ি করার স্বপ্ন দেখতেন। ইউটিউব তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। ভ্লগ করে পাওয়া টাকায় নতুন বাড়ি তৈরি করছেন রাজেশ। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কাননের একটি পডকাস্টে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জানান, নিজের স্বপ্নের কথা।
নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে রাজেশ জানান, একবার দুর্ঘটনায় হাতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাক চালানো বন্ধ করেননি। পুরো পরিবারের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। তিনি তো ঘরে বসে থাকতে পারেন না। স্বপ্নালু চোখে রাজেশ বলেন, “যতদিন না বাড়িটা তৈরি করতে পারছি, ততদিন ট্রাক চালাব।”
ট্রাক চালিয়ে মাস গেলে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করেন রাজেশ। কিন্তু ইউটিউব থেকে তাঁর আয় এর প্রায় পাঁচ গুণ। তবে পুরোটাই ভিউজের উপর নির্ভর করে। তাও মোটামুটি ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেন রাজেশ। সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকাও রোজগার করেছিলেন একবার।
প্রথম দিকের ভিডিওতে মুখ দেখাতেন না রাজেশ। শুধু ভয়েসওভার দিয়ে আপলোড করতেন। সেই সময় ভিউ কমই হত। রাজেশের কথায়, “তখন শুধু ভয়েসওভার দিয়ে ভিডিও আপলোড করতাম। কমেন্টে অনেকেই বলতেন, আমি যেন সশরীরে ভিডিওতে থাকি। একদিন ছেলে আমার ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে দেয়। মাত্র একদিনে সাড়ে ৪ লাখের উপর ভিউ হয়েছিল।” সেটাই ছিল রাজেশের প্রথম ভাইরাল ভিডিও।
সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব সন্তানদেরই দিচ্ছেন রাজেশ। কারণ ছেলেমেয়েরাই ইউটিউবে তাঁর ভিডিও আপলোড করতেন। তাঁদের কাছ থেকেই শিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার খুঁটিনাটি। সাফল্যের ভাগীদার তাঁরাও। সিদ্ধার্থ কাননকে হাসি হাসি মুখে এমনটাই বলেন রাজেশ।
(Feed Source: news18.com)