ISL-এর শেষ ম্যাচটিও ড্র, ঘরের মাঠে কোনও জয় পেল না মহমেডান, শেষ করল লাস্টবয় হয়ে

ISL-এর শেষ ম্যাচটিও ড্র, ঘরের মাঠে কোনও জয় পেল না মহমেডান, শেষ করল লাস্টবয় হয়ে

মহমেডান প্রথম বার আইএসএল খেলতে নেমেছিল এই মরশুমে। আর প্রথম বারই তারা নিরাশ করল। এমন কী টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ তারা ঘরের মাঠে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। সেই ম্যাচটিও ২-২ ড্র হয়ে যায়। ২৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে তারা। ১৫টি ম্যাচেই হেরেছে। ৭টি ম্যাচ ড্র করেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা লিগ টেবলের লাস্টবয় হয়ে আইএসএল শেষ করল মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর দল।

সোমবার কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েছিল মহমেডান। তবে তারা ২ গোল শোধ করে কোনও মতে ড্র করে মান বাঁচায়। তবে এবারের আইএসএলে তাদের হোম ম্যাচে জয় অধরাই থেকে গেল।

পঞ্জাব এফসি এদিন আগ্রাসী মেজাজে খেলা শুরু করেছিল। পঞ্জাবের ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে প্রচুর পাস খেলেছিলেন। তাঁদের দ্রুত পাসের জালেই খেই হারিয়ে ফেলে মহমেডানের রক্ষণ। আর সেই সুযোগেই ম্যাচের একেবারে শুরুতে, ৯ মিনিটের মধ্যে ১-০ এগিয়ে যায় পাঞ্জব এফসি। মহামেডান ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে গোল করে যান আর্জেন্তাইন মিডফিল্ডার নর্বের্তো ভিদাল।

প্রথমার্ধেই গোলশোধের সুযোগ পেয়েছিল মহামেডান। তবে জোহেরলিয়ানার শট বাঁচান পঞ্জাবের গোলকিপার। এছাড়া দুই দলই বড় কোনও সুযোগ পায়নি। মহমেডান ০-১ পিছিয়ে বিরতিতে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি লড়াই হয়। এই হাফেই মোট তিন গোল হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২-০ করে ফেলে পঞ্জাব। ৫৩ মিনিটের মাথায় যে গোলটি হয়, তার আসল কারিগর ভিদালই। তিনি মহামেডানের রক্ষণভাগ চিরে একটি নিখুঁত থ্রু বাড়ান লুকা মাজেনের উদ্দেশ্যে, যিনি বক্সের মাথায় ছিলেন। ডিফেন্ডার জুডিকা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলেও, ব্যর্থ হন। সেই সুযোগে বল পেয়ে তা জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাজেন।

২-০ এগিয়ে যাওয়ার পর পঞ্জাবের মধ্যে একটু গা-ছাড়া ভাব এসেছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগায় মহমেডান। ৮ মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুই গোল করে সমতা ফেরান সাদা-কালো ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তে নামা দুই ফুটবলারই মান রাখে মহমেডানের। ৫৮ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে মনবীর সিং একটি ক্রস বাড়ান। বক্সের কাছে জটলার মধ্যে থেকে সেই বল ধরে বাঁ পায়ে জালে জড়ান অস্ট্রিয়ান ফরোয়ার্ড মার্ক স্মেরবক। এর পর ৬৬ মিনিটে রবি হাঁসদা গোলটি করলেও, এর আসল কারগির মহমেডানের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড কার্লোস ফ্রাঙ্কা। ফ্রাঙ্কা পঞ্জাবের রক্ষণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উপরে উঠে আসেন। বিপক্ষের তিন জন প্লেয়ারকে ডজ দিয়ে নিখুঁত পাসে বল বাড়ান রবির কাছে। রবি বলটি পেয়ে জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি। যাইহোক এর পর ব্য়বধান বাড়ানোর জন্য অনেকটা সময় পেয়েছিল দুই দলই, কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি কেউই।

(Feed Source: hindustantimes.com)