নিজস্ব প্রতিবেদন : নিশাচর আগ্রাসী সূচ। কুট করে ফুটছে। কিন্তু ধরা যাচ্ছে না। অজ্ঞাত সূচ-হামলায় ত্রস্ত ইউরোপ (Needle Attack)। ফ্রান্সে গত এক-দু’ মাসেই সূচ-আক্রমণের শিকার তিনশোরও বেশি মানুষ। যাঁদের সিংহভাগই মহিলা (Attack On Women)। হামলাকারীদের টার্গেট মূলত নাইটক্লাব আর লাইভ কনসার্ট। ভিড়ের সুযোগে সূচ ফোটানো সহজ। গা-ঢাকা দেওয়া আরও সোজা। প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে চিকিৎসক, দুঁদে গোয়েন্দা অথবা ঝানু আইনজীবী— তদন্তে নেমে পড়েছেন সব পক্ষই। তাঁদের চ্যালেঞ্জ, দুটি প্রশ্ন।
এক, হামলা করছে কে বা কারা? দুই, হামলা করছে কেন, কী উদ্দেশ্যে? সাত মণ তেল পুড়েছে তবু, উত্তর এখনও অধরা। এমনকী, ইঞ্জেকশন করে কী ঢোকানো হচ্ছে শরীরে, কোনও মাদক নাকি স্রেফ জল, সেই উত্তরও মিলছে না। কাউকে যৌননিগ্রহও করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, বিপদ এড়াতে আপাতত নাইটক্লাবগুলিতে আগ্রাসী সূচ বিষয়ে সচেতনতার প্রচার চালু করতে চলেছে প্রশাসন। উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, কেবল ফ্রান্সেই আটকে নেই সূচের আক্রমণ।
হামলার ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম বা নেদারল্যান্ডসের মতো দেশেও। লাইভ কনসার্টে সূচ আগ্রাসনের শিকার বছর আঠেরোর এক সদ্যতরুণ জানিয়েছেন, ঘটনাটার পর তাঁর মাথা ঝিমঝিম করছিল। শারীরিক ভাবে খুবই অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। তাঁর বাহুতে সূচ ফোটানো হয়। সেকানে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল। পরে তাঁকে চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন। স্বস্তির খবর, তাঁর শরীরে হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B) বা এইআইভির (HIV) মতো কোনও মারক ভাইরাসের খোঁজ মেলেনি। অন্য আক্রান্তদেরও শরীরে মেলেনি কোনও মারাত্মক জীবাণু। প্রশ্ন উঠছে, এটা কি তবে নিছকই ঠাট্টা? কিন্তু ব্রিটিশ প্রশাসন এই আক্রমণ হালকাভাবে নিচ্ছে না। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, লাফিয়ে বাড়ছে সূচ-হানা। কেবলমাত্র ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই ব্রিটেনে ১০০০টি এমন ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। ফলে, সূচের ঘায়েই মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে প্রশাসনের।
(Source: zeenews.com)