
অয়ন ঘোষাল: মার্চেই তাপপ্রবাহ। ক্রমশ তিলোত্তমার ওপর বিরূপ হচ্ছে প্রকৃতি। তার উপর মাঝে মধ্যেই বিশ্বের বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষ শহরগুলির মধ্যে উঠে আসে কলকাতার নাম। বছরে একটা দিন ঘটা করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করি আমরা। কটাই বা গাছ লাগানো যায় একদিনে? শেষ পর্যন্ত এই গাছগুলির মধ্যে বাঁচে কটা? আমরা কি খোঁজ নিয়ে দেখেছি কোনওদিন। এবার তাই শহরে গ্রিন হোটেল।
শহরের বুকে এমন এক হোটেল, যা সাজসজ্জায় পাঁচতারা হোটেলকে টেক্কা দেবে। পাশাপাশি আপনাকে রাখবে শুদ্ধ, ফ্রেশ এবং তরতাজা। কারণ এই চেইন অফ হোটেলের প্রতিটি শাখায় লবি থেকে লাউঞ্জ, রেস্তোরাঁ থেকে রুম, প্রতিটি কোনায় কোনায় এমন ধরনের গাছের সমাহার, যা নিজে থেকেই বায়ু শোধন করে। অনবরত। প্রতিনিয়ত। বাতাসের ক্ষতিকারক ভাসমান ধূলিকণা এবং বিষাক্ত গ্যাস যেমন বেনজিন, ফর্মাল ডিহাইড এবং ট্রাইকোলোরোথিলিন শুষে নেয়। বদলে রাতদিন একনাগাড়ে যোগান দিয়ে চলে শুদ্ধ অক্সিজেন।
এরকমই বায়ো হাইজিন এবং ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি হোটেল এবার পা রাখতে চলেছে এই রাজ্য এবং দেশের নানা শহরে। অর্থাৎ এক চেক ইনে বাজেট এবং ক্লাইমেট, দুইয়ের ফ্রেন্ডলি সহাবস্থান। নিখাদ বাঙালি উদ্যোগপতি সৌম্য সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, কোভিডের পর থেকে হোটেল ব্যবসায় যখন তীব্র মন্দা, তখন থেকেই তার মাথায় হোটেলের ঘরকে তরতাজা প্রাণবায়ুর সুলুক সন্ধান দেওয়ার ভাবনা চিন্তা ঘুরছে। অবশেষে তার বাস্তবায়ন ঘটল।
গ্রাম বাংলার বাড়ির তুলসি গাছ শুধু ভক্তি নয়, মানুষের শারীরিক শক্তি এবং সুস্থতার প্রতীকও বটে। সেরকমই দশ প্রজাতির গাছ যদি আপনার হলিডে ডেস্টিনেশনের অঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে বিনোদন আর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যায় একসঙ্গে। তাই তুলসি, এরিকা, পাম, মানিপ্লান্ট, অ্যালোভেরা, স্পাইডার প্লান্ট, পিস লিলি, রাবার প্লান্ট, ল্যাভেন্ডার, বাম্বু পাম-সহ দশ রকমের গাছের সমহারে আস্ত এক গ্রিন হোটেল এবার আমাদের শহরে।
(Feed Source: zeenews.com)