
রাজস্থানের অলওয়ারের পালখাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বছর বারোর নাবালক তাসলিম। আসলে পেট্রোলের গন্ধই তার নেশা। সব সময় সেই নেশাতেই…আরও পড়ুন
আসিফ খান, আলওয়ার: বাচ্চারা সাধারণত চকোলেট খাওয়ার জন্য কিংবা খেলনা কিনে দেওয়ার বায়না করে। কিন্তু এবার প্রকাশ্যে এল ১২ বছরের এক নাবালকের এক অদ্ভুত নেশা। যার জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছে শিশুটির পরিবার। এমনকী, চিকিৎসকেরাও এই নাবালকের নেশা ছাড়াতে গিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কী এমন নেশা তার। আসলে রাজস্থানের অলওয়ারের পালখাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বছর বারোর নাবালক তাসলিম। আসলে পেট্রোলের গন্ধই তার নেশা। সব সময় সেই নেশাতেই বুঁদ হয়ে থাকে সে। আর পেট্রোল না পেলে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ওই একরত্তি শিশু। সেই কারণে এখন তাসলিমের জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠেছে এই পেট্রোলই।
তাসলিমের মামা আজহারুদ্দিন বলেন যে, যখন তাসলিমের বয়স মাত্র ২ বছর ছিল, তখন প্রায় সব সময়ই সে বাইকের উপর বসে খেলা করত। যার জেরে পেট্রোলের গন্ধই এখন তার নেশা হয়ে উঠেছে। ফলে পেট্রোল ভর্তি বোতল সব সময় নিজের নাকের কাছে নিয়ে রাখে তাসলিম। এদিকে এই নেশা ছাড়ানোর জন্য তাকে অলওয়ার এবং জয়পুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তার-বদ্যি করেও বিশেষ লাভ হয়নি।
পেট্রোল না পেলেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড:
শিশুটির পরিবার Local 18-এর কাছে জানিয়েছে যে, পেট্রোলের বোতল হাতে না পেলেই বিরক্ত হয়ে যায় তাসলিম। তার বয়স যখন ২ বছর ছিল, তখন থেকেই পেট্রোলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য বাইকের ট্যাঙ্কের কাছে মুখ বাড়িয়ে রাখত সে। প্রথমে পেট্রোল থেকে তাদের দূরে রাখার প্রচুর চেষ্টা করেছে তার পরিবার। কিন্তু তার খিটখিটে মেজাজের কারণে পরিবারের সদস্যরা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন না। আর বয়স যত বাড়ছে, পেট্রোলের ঘ্রাণ নেওয়ার নেশাও তার বেড়েই চলেছে।
কাউন্সেলিং এবং শিশুটিকে পরীক্ষা জরুরি:
Local 18-এর তরফে যখন চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন এই প্রসঙ্গে চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডা. যোগেন্দ্র কুমার বলেন, এই ধরনের রোগ হলে সিনিয়র পেডিয়াট্রিশিয়ান দেখানো উচিত। সেই সঙ্গে শিশুটির কাউন্সেলিং এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ব্লক-লেভেল টিম এবং চাইল্ড প্রোটেকশন প্রোগ্রাম টিমের তরফে। এর জন্য প্রথমে শিশুটিকে অলওয়ারের জেনারেল হাসপাতালে দেখানো উচিত। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে শিশুটিকে জয়পুরের চিল্ড্রেন্স জে কে লন হাসপাতালের স্পেশ্যালিস্টের কাছে পাঠাতে হবে।