হামজা আসায় বাংলাদেশের ঢঙ্কানিনাদ, ইতিহাস মনে করিয়ে হুংকার ভারতীয় দলের

হামজা আসায় বাংলাদেশের ঢঙ্কানিনাদ, ইতিহাস মনে করিয়ে হুংকার ভারতীয় দলের

আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রয়েছে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। ভারতীয় দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। শিলংয়ে কদিন আগেই সুনীল ছেত্রীরা মালদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে। এই ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও জয়ের লক্ষ্যে নামছে টিম ইন্ডিয়া। ২০২৪ সালের পর থেকেই এটাই ভারতীয় দলের প্রথম প্রতিগোতিমুলক ম্যাচে জয় হতে পারে। ভারতের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে সিঙ্গাপুর এবং হংকংও।

ম্যানোলো মার্কুয়েজ যখন কয়েক সপ্তাহ আগে সুনীল ছেত্রীকে জাতীয় দলে অবসর ভেঙে ফিরিয়েছিলেন, তখন অনেকে প্রশ্ন তুললেও গত ম্যাচে পাহাড়ি এই ফুটবলার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা এখনও অনেক ফুটবলারের থেকেই বেশি। ৪০ বছর বয়সে এসেও এই স্ট্রাইকার গোল পেয়েছেন গত ম্যাচে। এমনিতে বাংলাদেশ রয়েছে ফিফা ক্রমতালিকায় ১৮৫ নম্বরে, সেখানে ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলতে নামা ভারতের স্থান ১২৫। ফলে ব্লু টাইগার্সরা যে এগিয়ে রয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য।

অবশ্য ভারতীয় ফুুটবলের অনেক পুরনো রোগ হচ্ছে ধারাবাহিকতার অভাব। যেমন গতবছর আফগানিস্তানের মতো দলের বিরুদ্ধেও হার স্বীকার করতে হয়েছে সুনীলদের দলকে, সেটাও আবার দেশের মাটিতে। তাই সন্দেশ ঝিংগানরা এই ম্যাচের আগে অত্যন্ত সতর্ক। যাতে বাড়তি চাপ না আসে, সেই কারণে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানকে নিজেদের মোটিভেট করতে কাজে লাগাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলাররা। ২০২১ সালে ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ২ গোলে এবং ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভারতীয় দল।

এমনিতে ভারত এবং বাংলাদেশ ফুটবলের মঞ্চে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ২৯বার। এর মধ্যে ১৪বার জিতেছে ভারত, আর ১০বার ম্যাচ ড্র হয়েছে। ম্যাচের আগে ভারতীয় রক্ষণের বড় ভরসা সন্দেশ ঝিংগান এআইএফএফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘এই ম্যাচটা কিন্তু আবেগের, এর সঙ্গে অনেক মানুষেরই আবেগ জড়িয়ে থাকে। আর আমরা এর আগে সাম্প্রতিককালে ওদের বিরুদ্ধে জিতেছি। লড়াই কিছুটা কঠিন হয়েছিল বটে, তবে আমাদের ফুটবল ওদের থেকে এগিয়েই রয়েছে। বাংলাদেশ দল ক্রমতালিকায় পিছিয়ে থাকলেও ওরাও যথেষ্ট লড়াই দেবে, তাই আমরা সতর্ক ’।

এদিকে ভারতে এসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের কর্তারা হামজা চৌধুরিকে নিয়ে এমন মাতামাতি শুরু করেছেন, যে দেখে মনে হতেই পারে কোনও বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারকে বুঝি তাঁরা খেলতে এনেছেন। ভারতীয় ফুটবলে জেমি ম্যাকলারেন, জ্যাসন কামিন্সের মতো বিশ্বকাপারদের সঙ্গে দাপিয়ে ফুটবল খেলেন শুভাশিস, লিস্টনরা। প্রতিপক্ষে সুনীল, সন্দেশরাও নজর কাড়েন। ফলে তাঁদের পক্ষে হামজা যে আদৌ তেমন বড় কোনও প্রতিবন্ধকতা হবেন না, তা বলা যেতেই পারে।

(Feed Source: hindustantimes.com)