
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিল্পপতি গৌতম আদানিকে একটি আইনি নোটিস পাঠাতে পারে আহমেদাবাদের এক আদালত। সূত্রের খবর আমেরিকার সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি সমন পাঠিয়েছে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক থেকে এনিয়ে নথি পাঠানো হয়েছে আদালতে।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে আহমেদাবাদের সেশন কোর্টে। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে যে সমন পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে আইনি সহায়তার অনুরোধ করা হয়েছে। ওই সমন গৌতম আদানির কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
ওই সমন নিয়ে জি মিডিয়ার তরফে যোগাযোগ করা হয় জেলা আদালতের রেজিস্ট্রার ও সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে। তবে বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় এনিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সূত্রের খবর ওই সমন গৌতম আদানির কাছে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে জেলা আদালত। আর সেই প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।
কেন এই সমন? জানা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে গৌতম আদানি ও তাঁর ভাগ্নে সাগর আদানির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ঘুষ দেওয়ার। যদিও শিল্পপতি গৌতম আদানি ও সাগর আদানি দুজনেই ওই ঘুষের কথা আগেই অস্বীকার করেছেন।উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইস্ট্রান ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গৌতম আদানি ও সাগর আদানিকে তলব করে। অভিযোগ ছিল, একটি সোলার পাওয়ার প্রকল্পে কাজ পেতে আদানিরা ২৫৬ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের। গত ২১ নভেম্বর ওই নোটিস আদানিদের দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় উত্তর দিতে হবে ২১ দিনের মধ্যে।
আদানি গ্রিন এনার্জি-র ডিরেক্টর ছিলেন সাগর আদানি। অভিযোগ, সাগর ও আরও সাতজন ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রায় ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন ওই কাজ পাওয়ার জন্য। অভিযোগ, মোট ২০ বছরে ওই প্রজেক্ট থেকে আদানিদের লাভ হতে পারত ২ বিলিয়ন ডলার। এমনটাই নিউ ইয়র্ক আদালতে দাবি করা হয়। ওই দাবি করে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি গ্রুপ। সংস্থার তরফে বলা হয় ওই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। এনিয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।
(Feed Source: zeenews.com)