
চাল চুলোহীন পরিবারের ছেলে মেয়েরা এবার ইস্ট জোনশুটিং বল চ্যাম্পিয়য়ানশিপ খেলতে পারি দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম, পরিবারে অভাব অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন আশফাক রনিতা রাহুল সুমিত প্রীতম ও সুরজিৎদের
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ন্যাশনাল ইস্টজোন চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ হলেও চিন্তা
হাওড়া: চাল চুলোহীন পরিবারের ছেলেরা এবার ইস্টজোন শুটিং বল চ্যাম্পিয়য়ানশিপ খেলতে পারি দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম! পরিবারে অভাব অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী। আশফাক, রনিতা রাহুল, সুমিত , প্রীতম ও সুরজিৎ’রা। এদের মধ্যেই আশফাক। পরিবারের দারুন অভাব অনটন। দাঁতের দাঁত চেপে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ওরা। খেলাধুলার প্রতি রয়েছে অগাধ টান। ইস্ট জন শুটিংবল চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ গ্রাম জুড়ে খুশির জোয়ার। তবে এই সুযোগেও ভয়ে কাঁটা আশফাক’রা। শৈশব থেকে দেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন।
তবে পরিবারের অভাব অনটন অর্থনৈতিক সমস্যা এগিয়ে যাবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই বাধার সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে চলেছে ওরা। এবার ঝাড়গ্রামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইস্ট জন শুটিংবল চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলার হয়ে খেলার ছাড়পত্র মিলেছে, কিন্ত যাওয়া হবে কি? সে বিষয়ে রয়েছে সংশয়। নলপুর স্পোর্টস একাডেমি থেকে এবার প্রায় ১৫ জন পুরুষ মহিলা সুযোগ পেয়েছে। কমবেশি প্রায় প্রত্যেকের পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যা। যদিও এভাবে লড়াই করে নলপুর স্পোর্টস একাডেমির ছেলেমেয়েরা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক ও ইস্টজন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে গ্রামের ছেলে মেয়েরা। এবারও হয়ত যেকোনও উপায়ে ইস্ট জন চ্যাম্পিয়নশিপের খেলার মাঠে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেই আশাবাদী তারা।
নিয়ম করে প্রতিদিন তিন চার ঘন্টা অনুশীলন। সারাদিনের এই কয়েক ঘন্টা মাঠে দাপাদাপি ওদের বেঁচে থাকার অক্সিজেনের মত। শুধু আশফাক নয়, রঘুদেববাটি গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের বেশ কিছু দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের এখন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে শুটিংবল খেলা। বর্তমান সময়ে যখন সারা বাংলা তথা দেশ জুড়ে মাঠ শূন্য হয়ে যাবার উপক্রম। এমন সময় ব্যতিক্রমী ছবি হাওড়া জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রঘুদেববাটি গ্রাম। যে গ্রামের ছেলে মেয়েরা মাঠে আসার জন্য উৎসুক হয়ে থাকে। এই গ্রাম থেকেই প্রথমবার শুটিংবল ওয়ার্ল্ড কাপে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছি রনিতা। এবার ইস্ট জন শুটিংবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার দলে ৭ পুরুষ ৯ জন মহিলা জায়গা করে নিয়েছে।
গ্রামের প্রায় পঞ্চাশ টি পরিবারের ছেলেমেয়ে প্রতিদিন অনুশীলন করে। বিগত প্রায় দেড় দশক গ্রামের দরিদ্র ছেলে মেয়েদের নিয়ে শুটিংবল প্রশিক্ষণ শিবিরে চালাচ্ছেন অনিমেষ নস্কর ও দেবযানী নস্কর।এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষক অনিমেষ নস্কর জানান, সাঁকরাইল ব্লকের রঘুদেববাটি গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার নিম্নবিত্ত। খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের প্রতিদিনের খাবার ও জোগাতে হিমশিম খেতে হয়। সেই সব পরিবার থেকে এসে ছেলেমেয়েরা শুটিংবল অনুশীলন করে। এখান থেকেই স্বপ্ন দেখে জাতীয় দলে খেলার। এবার তাদের মধ্যেই থেকেই ইস্ট জোন চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার সুযোগ পেয়েছে।
Rakesh Maity
(Feed Source: news18.com)