
নয়াদিল্লি : ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে উল্লেখ করে চিনকে আর্থিক সম্প্রসারণের আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। চার দিনের চিন সফরে গিয়েছেন ইউনূস। তাঁর এই সফরের মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যেখানে বাংলাদেশে আর্থিক বেস তৈরির জন্য চিন সরকারকে উৎসাহিত করতে শোনা যাচ্ছে ইউনূসকে। এই মর্মে তিনি ঢাকাকে “এই অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক” বলে উল্লেখও করেছেন।
ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার বলা হয়… তারা স্থলবেষ্টিত দেশ, ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনও উপায় তাদের নেই। আমরাই এই অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। তাই এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। এতে চিনা অর্থনীতির সম্প্রসারণ হতে পারে। জিনিসপত্র তৈরি করুন, জিনিসপত্র উৎপাদন করুন, জিনিসপত্র বাজারজাত করুন, জিনিসপত্র চিনে নিয়ে আসুন, সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।”
ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল লিখেছেন, “মজার বিষয় হল, ইউনূস চিনের কাছে প্রকাশ্যে আবেদন জানাতে গিয়ে ভারতের ৭টি রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে তুলে ধরছেন। চিনকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে স্বাগত, কিন্তু ভারতের ৭টি রাজ্য স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য ঠিক কী ?”
চার দিনের চিন সফরে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ইউনূস বেজিংয়ের কাছ থেকে নদীর জল ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০ বছরের একটি মাস্টার প্ল্যানও চেয়েছেন। যার মধ্যে ভারতের উজান-অঞ্চলের তিস্তা নদীও অন্তর্ভুক্ত। চিনকে “জল ব্যবস্থাপনার মাস্টার” বলে অভিহিত করেছেন ইউনূস। বাংলাদেশের সরকার পোষিত সংবাদ সংস্থাকে ইউনূসকে উদ্ধৃত করেছে। সেই অনুযায়ী ইউনূস বলেছেন, “আমরা এখানে আপনাদের কাছে শিখতে এসেছি। কীভাবে আমরা মানুষের কাছে জলসম্পদকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারি তা জানতে চাই।”
ইতিমধ্যে, বাংলাদেশ ও চিন ইয়ারলুং জাংবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা করেছে, যা চিনে উৎপন্ন হয় এবং ভারতীয় ভূখণ্ডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। উভয় দেশ সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতার উপর একটি নতুন দফা আয়োজনের পরিকল্পনা করতেও সম্মত হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মংলা বন্দরের সুবিধা আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য চিনা কোম্পানিগুলিকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রামে চিনা অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল (CEIZ) আরও উন্নীত করতে চিনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
(Feed Source: abplive.com)