
Darjeeling Tourism:এবার পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ে গিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরে আসুন। দেখবেন এই অভিজ্ঞতা সারা জীবনের জন্য মনে দাগ কেটে যাবে।
দার্জিলিঙে ঘোড়ার সাওয়ারি
সুজয় ঘোষ, দার্জিলিং: দার্জিলিং নামটা শুনলেই মনের মধ্যে যেন এক নস্টালজিয়া জেগে ওঠে। চারিদিকে সারি সারি পাহাড় চা বাগান এবং জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গা বরাবরই মুগ্ধ করে পর্যটকদের। এই শৈল শহরে দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন বরফের চাদরে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দুচোখ ভরে দেখা যায় তেমনি টাইগার হিল এ দাঁড়িয়ে সবচেয়ে সুন্দর সূর্যোদয়ের সাক্ষী হওয়া যায়। এই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়। তবে দার্জিলিং-এর বুকে আজও আট থেকে আশি সকলের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্রিটিশ আমলের সেই ঘোড়ার সাওয়ারি।
অনেকে অনেক ভাবেই দার্জিলিং ঘুরে থাকেন, তবে এই ঘোড়ার পিঠে উঠে দার্জিলিং শহরকে দেখার মজাটা যেন একটু আলাদা। এ যেন বাকি সব অভিযানের থেকে অনেকটাই রোমাঞ্চকর। গরম পড়তেই দার্জিলিং এর মল রোডে ঘোড়ার সাওয়ারির মজা নিতে ব্যস্ত পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা শুধু পর্যটক বললে ভুল হবে, স্থানীয়রাও চুটিয়ে আনন্দ করছেন এই হর্স রাইডিংয়ের। এই ঘোড়ার পিঠে চেপে দার্জিলিঙে মল রোড ঘুরছেন বহু হাজার হাজার মানুষ. সকলের কাছেই এই অভিজ্ঞতা তাদের ভ্রমণের আনন্দ দ্বিগুণ করে দেয় । এই ঘোড়াগুলোই পেট চালাচ্ছে পাহাড়ের স্থানীয় বহু মানুষের। দার্জিলিং মল রোডেই রয়েছে একটি ঘোড়ার আস্তাবল যেখানে এই ঘোড়াগুলোকে খাওয়া দাওয়া, স্নান করানো, দলাইমলাই থেকে শুরু করে তাদের থাকার ব্যবস্থা সমস্তটাই রয়েছে। মল রোডে গেলে একবার হলেও চোখ পড়বে ব্রিটিশ আমলের এই আস্তাবলের দিকে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা ফেন্দো ভুটিয়া জানান ব্রিটিশ আমল থেকে তিনি ঘোড়ার পিঠে পর্যটকদের চড়িয়ে ঘোরানোর কাজ করে আসছেন। বর্তমানে মোট কুড়িটির মতো ঘোড়া রয়েছে এবং পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা সকলেই দারুণ উপভোগ করে এই হর্স রাইডিং। এই কাজ করেই তিনি সংসার চালান।
তাহলে এবার পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ে গিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরে আসুন। দেখবেন এই অভিজ্ঞতা সারা জীবনের জন্য মনে দাগ কেটে যাবে। দার্জিলিংয়ের প্রাণকেন্দ্র অর্থাৎ এই মল রোডে গেলেই দেখা মিলবে এই ঘোড়াগুলোর। সেখানেই কথা বলে ঘোড়ার পিঠে চেপে বেরিয়ে পড়ুন শৈলশহর ভ্রমণে। আপনার একটি ঘোরসওয়ারি হাসি ফোটাবে কিছু মানুষের মুখে।