
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটা ‘সোনার নাকের নথ’ – পুরো হত্যাকাণ্ড যেন ওই একটি নথ দিয়েই সমাধান হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর বিরোধ-বিচ্ছেদ, হত্যা দেশে বিদেশের প্রতিদিনের খবরে রোজনামচা হয়ে উঠছে। কখনও স্বামী, স্ত্রীকে আবার কখনও স্ত্রী, স্বামীকে অবলীলায় মেরে ফেলছে।
দিল্লির নাফজগড়ে, আবার এরকম একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আর্থিক বিবাদের জের। ব্যবসার সম্পত্তি এই নিয়ে নিত্যদিনের কলহ। সেখান থেকে স্বামী অনিল কুমার বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করে। স্ত্রী সীমা কুমার, দুই সন্তান এবং সংসার ছেড়ে বিচ্ছেদের পথে এগোতে চাননি। আর সেই রাগেই বাড়ির কর্মচারীর সাহায্যে অনিল কুমার এবং শিব শংকর মিলে সীমা কুমারকে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর দেহ তার দিয়ে বেঁধে জলে ভাসিয়ে দেয়।
পুলিশ মার্চের ১৫ তারিখ বিকেল চারটের সময় নির্মল ধামের কাছে সাহেবি নদীতে একটি মৃতদেহ ভাসার খবর পায়। দেহটি উদ্ধার করার সময় তাঁর নাকে একটি সোনার নথ ছিল। হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে এই গয়নাটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই গয়নার ডিজাইন দেখে পুলিশ গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং স্বর্ণকারের কাছে পৌঁছয়। সেখান থেকে জানতে পারি এই গয়না কে বানাতে দিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে ওই মৃতদেহটি সীমা কুমারের। দ্বারকা সেক্টর ১০-এ থাকতেন।
তদন্তকারী দল তাঁর বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরা সকলেই জানান, সীমা গত কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। যদি স্বামী অনিল কুমার দাবি করেছেন যে, স্ত্রী শহর ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে কারণ স্বামী, স্ত্রী নিখোঁজের কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।পুলিশের বারংবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মচারী শংকর জানান, তিনি এবং বাড়ির গৃহকর্তা অর্থাৎ সীমা কুমারের স্বামী অনিল কুমার এবং শংকর দুজনে মিলে সীমাকে হত্যা করে। হত্যার পর তাঁরা মৃতদেহটি একটি বিছানার চাদরের মুড়িয়ে, তার দিয়ে বেঁধে ড্রেনে ফেলে দেয়। ৩০ মার্চ পুলিশ অনিল কুমার এবং শঙ্করকে গ্রেফতার করেছে।
অনিল-সীমার মধ্যে পারিবারিক ও আর্থিক বিরোধের কারণেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ মনে করছে। শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হলেও ময়নাতদন্তে রিপোর্টের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। অনিল এবং শংকর এর বিরুদ্ধে পুলিস খুনের মামলা দায়ের করেছে।
(Feed Source: zeenews.com)