Sperm Count Increase Herb: গ্রামে পাওয়া অবহেলার এই পাতা পুরুষদের কাছে আশীর্বাদ! তরতরিয়ে বাড়ে শুক্রানু, বৃদ্ধি পায় স্ট্যামিনাও…

Sperm Count Increase Herb: গ্রামে পাওয়া অবহেলার এই পাতা পুরুষদের কাছে আশীর্বাদ! তরতরিয়ে বাড়ে শুক্রানু, বৃদ্ধি পায় স্ট্যামিনাও…

Sperm Count Increase Herb: এটি পুরুষদের বীর্য ও স্ট্যামিনা বাড়াতে সহায়তা করে, নারীদের জন্যেও শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বাত, পক্ষাঘাত ও নার্ভের দুর্বলতার মতো সমস্যায় দারুণ কার্যকর, বিস্তারিত জানুন…

বালা উদ্ভিদ (Bala Plant) তার আশ্চর্যজনক ঔষধিগুণের জন্য বহু প্রাচীনকাল থেকেই বিখ্যাত। এটি শুধু পুরুষদের বীর্য বৃদ্ধিতেই সাহায্য করে না, বরং আরও নানা রোগে উপকারী। বালাকে বিভিন্ন নামেও ডাকা হয় – যেমন বরিয়ার, খারেটি ইত্যাদি। আয়ুর্বেদে এই গাছের ব্যবহার হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে।

বালা সম্পর্কে আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ যেমন চরক সংহিতা, সুশ্রুত সংহিতা ও ভাবপ্রকাশ নিঘন্টুতে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে বালাকে ‘বাল্য’, ‘বাতহর’, ‘বীর্যবর্ধক’, ‘শুক্রবর্ধক’ ও ‘দাহ শামন’ – এমন নানা গুণে গুণান্বিত বলা হয়েছে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে বালার সবচেয়ে বড় উপকার হল এটি বীর্য ও স্ট্যামিনা বাড়াতে সহায়তা করে। চরক সংহিতায় বলা হয়েছে, এটি বাত দোষ কমায়। যাদের জয়েন্টে ব্যথা, নার্ভ দুর্বলতা বা গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বালাকে অত্যন্ত উপকারী বলা হয়।

বালাতে একধরনের মিষ্টি স্বাদ আছে, তাই আয়ুর্বেদে একে “মধুর রস” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি দেহকে ঠান্ডা রাখে ও বাত-কফ দোষের ভারসাম্য বজায় রাখে। আধুনিক গবেষণাও বালার গুণমানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েড ও ফাইটোস্টেরল।

এছাড়াও, বালাতে রয়েছে ‘ইফেড্রিন’-এর মতো একটি উপাদান যা শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। ইফেড্রিন সাধারণত অ্যাজমা ও হাইপোটেনশন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দুর্বলতা ও ক্লান্তি দূর করে বালার ব্যবহারে দেহে শক্তি ফিরে আসে। এটি শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্যও খুব উপযোগী।

যেসব রোগ যেমন বাত, আর্থ্রাইটিস, পক্ষাঘাত বা নার্ভের দুর্বলতায় ভুগছেন, তাদের জন্য বালা একটি কার্যকর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। এটি দেহে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করে ও দেহের গঠনকে শক্তিশালী করে তোলে।

নারীদের ক্ষেত্রেও বালা কম উপকারী নয়। প্রসবের পর দেহে শক্তি ফিরিয়ে আনতে ও দুধ বৃদ্ধির জন্য এর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এটি ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। বালার তেল মালিশ করলে জয়েন্টের ব্যথা উপশম হয়।

তবে বালার কিছু সাবধানতাও রয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় বালার সেবনে কফ বৃদ্ধি পেতে পারে, ফলে সর্দি বা কাশির সমস্যা হতে পারে। যাদের দেহ বেশি ঠান্ডা প্রকৃতির, তাদের কমমাত্রায় বালা গ্রহণ করা উচিত। যেকোনো আয়ুর্বেদিক ঔষধ গ্রহণের আগে অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

(Feed Source: news18.com)