মাথায় হাত চাষিদের! বীরভূমের জলে ভাসল মুর্শিদাবাদ, জলের তলায় ‘এত’ হাজার হেক্টর চাষের জমি, দেখলে কান্না পাবে আপনারও

মাথায় হাত চাষিদের! বীরভূমের জলে ভাসল মুর্শিদাবাদ, জলের তলায় ‘এত’ হাজার হেক্টর চাষের জমি, দেখলে কান্না পাবে আপনারও

 

 

গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে একটানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ২০১৭ সালের পর এত বৃষ্টির কারণে কৃষি জমি বন্যার কবলে পড়েনি বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।

কৃষি জমি জলের তলায় 

বড়ঞা, কৌশিক অধিকারী: গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে একটানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ২০১৭ সালের পর এত বৃষ্টির কারণে কৃষি জমি বন্যার কবলে পড়েনি বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। হঠাৎই বীরভূম থেকে আসা জলস্তর বৃদ্ধির কারণেই এবার কৃষি জমি জলের তলায়। প্রায় সাত হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলমগ্ন। জমি থেকে জল বের হতে না পারায় চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

জানা গিয়েছে, বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একাধিক মৌজা ধানের জমি কোপাই নদীর জলে তলায়। লাগাতার বর্ষণে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুর্শিদাবাদ জেলা সহ বিভিন্ন এলাকা। অন্যদিকে, একাধিক জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। এবার সেই জল এসে নামল বড়ঞাতে। ফলে সম্প্রতি ধান রোপণ করা হলেও বিঘের পর বিঘা জমি এখন জলের মধ্যে আছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে এখন চাষিরা। ধানের চারা নষ্ট হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চাষিরা। যদিও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সব সময় নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

মুর্শিদাবাদের ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটানা ভারী বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের কারণে চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর উপরে নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় স্লুইস গেটও বন্ধ। ফলে চাষের জমির জল বের হতে না পারায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায়। দ্রুত জমি থেকে জল বের করতে না পারলে খারিফ মরশুমে ধান চাষ করা যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন কৃষকেরা।

কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “বড়ঞার সব থেকে বেশি কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একাধিক মৌজাতে। আমরা সরজমিনে খতিয়ে দেখছি। যদিও বৃষ্টির কারণেই জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে। রাজ্যে স্তরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। আনুমানিক প্রায় সাত হাজার হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

(Feed Source: news18.com)