বিশ্বকাপজয়ী অজি কিংবদন্তি বব সিম্পসনের মৃত্য়ুতে শোকের ছায়া অজি ক্রিকেটে

বিশ্বকাপজয়ী অজি কিংবদন্তি বব সিম্পসনের মৃত্য়ুতে শোকের ছায়া অজি ক্রিকেটে

মেলবোর্ন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক কিংবদন্তি বব সিম্পসন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল হয়েছিল ৮৯ বছর। সিডনিতে মৃত্যু হয় ববের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে এক বিবৃতিতে সিম্পসনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ”রেস্ট ইন পিস ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি ব্যক্তিকে। একজন টেস্ট ক্রিকেটার, ক্যাপ্টেন, কোচ ও জাতীয় নির্বাচক সিম্পসন। তিনি ক্রিকেটে সবকিছু দিয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে ববের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

নব্বইয়ের দশকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের উন্নতির পেছনে উল্লেখযোগ্য নাম ছিল সিম্পসন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়েই খেলেছেন। ৬২টি টেস্ট ও দুটো ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলছেন তিনি। কেরিয়ারে ৪৮৬৯ রান করেছেন টেস্টে। ৩৯টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন ১২ ম্য়াচে।

১৯৬৮ সালে ক্রিকেট কেরিয়ারকে বিদায় জানিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে সিম্পসনকে ফের অবসর ভেঙে ফেরার জন্য রাজি করানো হয়। কেরি প‍্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট বিতর্কের সময় দেশের প্রয়োজনে ফের একবার ২২ গজে ফিরে আসেন। ১৯৬৪ সালে ওভালে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে নজির গড়েছিলেন।

১৯৮৭ সালে সিম্পসন ও বর্ডারের জুটির দৌলতেই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৯৫ সালে ফ্র্যাঙ্ক ওরেল ট্রফিও ফিরিয়ে আনে অস্ট্রেলিয়া সিম্পসনের উপস্থিতিতেই। স্টিভ ওয়া, মার্ক টেলর, মার্ক ওয়া, জাস্টিন ল‍্যাঙ্গার, শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম‍্যাকগ্রা, রিকি পন্টিংয়ের মত ক্রিকেটারের উঠে আসার পেছনে অবদান ছিল সিম্পসনেরই।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বাংলার তরুণ ক্রিকেটারের

কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বাংলার উদীয়মান ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ। মাত্র ২২ বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর জীবন সফর। শোকে বিহ্বল কলকাতা ময়দান। বন্ধু, আত্মীয় পরিজন ও ক্রিকেট দলের সতীর্থরা ভেঙে পড়েছেনবীরভূম জেলার বোলপুরের বাসিন্দা প্রিয়জিৎ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। জেলা থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর ক্রিকেট সফর। প্রিয়জিৎ ২০১৮-১৯ মরশুমে সিএবি আয়োজিত আন্তঃ জেলা অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়েছিল প্রিয়জিৎকে। সেই পদক এখনও তাঁর ঘরে সাজিয়ে রাখা। উদীয়মান এই তরুণ অকালেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।

(Feed Source: abplive.com)