সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথম পোলিও আক্রান্ত পড়ুয়া, স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার

সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথম পোলিও আক্রান্ত পড়ুয়া, স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার

শারীরিক বাধা কখনও মনকে আটকাতে পারে না। তারই প্রমাণ দিল তামিলনাড়ুর ১৪ বছরের এক কিশোর। নান্নাডু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এই কিশোর ভিলুপুরমের জাতীয় গড়-কাম-মেরিট স্কোর (NMMS) পরীক্ষায় জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভিলুপুরম থেকে প্রায় ৫২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।

এস গোকুলকৃষ্ণনের বয়স তখন পাঁচ বছর। পোলিওমাইলাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিল সে। তখন থেকেই হুইলচেয়ার ব্যবহার করে সে। কিন্তু এটি তার স্বপ্ন ও অদম্য জেদকে আটকাতে পারেনি।

‘আমার দুই ছেলে। দু’জনেই পোলিও আক্রান্ত। গোকুলকৃষ্ণন ছোটো। ও ছোটো থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী। অসুস্থতা সত্ত্বেও কোনওদিনও ক্লাস মিস করতে চায় না,’ জানালেন মা এস আমুধা।

গোকুলকৃষ্ণন এখন নবম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাস সিক্স থেকেই NMMS-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। চলতি বছর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সফল হয় সে। ‘আমি আমার শরীর নিয়ে কখনওই মন খারাপ বা দুঃখ বোধ করি না। অন্যান্য বন্ধুদের মতোই হাসি-খুশি থাকি। বড় হয়ে আমি চিকিত্সক হতে চাই। সেই কারণে এখন থেকেই NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। পড়াশোনাই আমার একমাত্র আনন্দের জায়গা। তাই আমি আমার সেরাটা দেওয়ার জন্য লড়াই করে চলেছি,’ বলল গোকুলকৃষ্ণান।

তার অঙ্কের শিক্ষক কে রামকুমার বলেন, ‘গোকুলকৃষ্ণন স্কুলে সমস্ত প্রবন্ধ এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ওকে এই কৃতিত্ব অর্জনে পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। ওর উচ্চ শিক্ষাতেও সাহায্য ও সমর্থন করব আমরা।’

NMMS পরীক্ষা

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা বিভাগের প্রকল্প এটি। পুরো নাম, ‘ন্যাশানাল-মিন-কাম-মেরিট স্কোর’। কেন্দ্রীয় সরকারি। এই স্কিমের উদ্দেশ্য হল অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বৃদ্ধি প্রদান করা।

এই মেধা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাসে ১,০০০ টাকা তকে বৃত্তি পাওয়া যায়। অর্থাত্, ৪ বছরে মোট ৪৮,০০০ টাকা।

(Source: hindustantimes.com)