#নয়াদিল্লি: এখন থেকে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস (NPS)-এ বিনিয়োগ হবে আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ফান্ড ম্যানেজারদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করবে পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA)।
পিএফআরডিএ (PFRDA) অনুযায়ী, স্কিমের ঝুঁকি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সমস্ত তথ্য জানাতে হবে ফান্ড ম্যানেজারদের। স্কিমের ঝুঁকির মাত্রা জানানোর জন্য, এনপিএস-এর অধীনে থাকা সমস্ত স্কিমকে রেটিং দিতে হবে। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে যে, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বিকল্পগুলির মধ্যে এনপিএস একটি ভালো সম্পদ হয়ে উঠছে। যদি এতে সঠিক ভাবে বিনিয়োগ করা হয়, তবে অবসর গ্রহণের সময় ভালো ফান্ড জমা করা সম্ভব। এর জন্য অবশ্যই স্কিমের ঝুঁকি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
৬ স্তরে ঝুঁকির রেটিং
আগামী ১৫ জুলাই থেকে জারি হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এনপিএস (NPS) স্কিমের ঝুঁকির নিরিখে মোট ৬টি স্তরে রেটিং দেওয়া হবে। কম ঝুঁকি, কম থেকে মাঝারি ঝুঁকি, মাঝারি ঝুঁকি, মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকি, উচ্চ ঝুঁকি এবং অতি উচ্চ ঝুঁকির মতো রেটিং দেওয়া হবে। আসলে পেনশন ফান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে ঝুঁকিও। এমন পরিস্থিতিতে, এই ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা প্রয়োজন, যাতে বিনিয়োগকারীরা সঠিক সম্পদ বেছে নিতে পারে।
পোর্টফোলিও প্রকাশ করতে হবে প্রতিটি ওয়েবসাইটে:
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, পেনশন ফান্ড সম্পর্কিত সমস্ত ওয়েবসাইটে তৈরি করতে হবে পোর্টফোলিও ডিসক্লোজার নামে একটি বিভাগ। প্রতি ত্রৈমাসিক শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই বিভাগে ঝুঁকি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এর পাশাপাশি এক বছরে ঝুঁকির মাত্রা কত বার পরিবর্তন হয়েছে, সেই বিষয়েও তথ্য দিতে হবে। এ-ছাড়া পেনশন ট্রাস্টকেও এই তথ্য জানাবে পেনশন ফান্ড। এক বছরে ঝুঁকির মাত্রা কত বার পরিবর্তিত হয়েছে, সেই বিষয়ে বছরের শেষে অর্থাৎ ৩১ মার্চ, পেনশন ফান্ডের ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য উল্লেখ করতে হবে। পেনশন প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে চার ধরনের বিকল্প রয়েছে। যথা – ইক্যুইটি, সরকারি বন্ড, কর্পোরেট ডেট এবং বিকল্প সম্পদ। গ্রাহক প্রথমে ফান্ড ম্যানেজার বেছে নেওয়ার পর বিনিয়োগ করার জন্য যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নেন।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় কর ছাড়:
এনপিএস-এর অধীনে খোলা হয় দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট, টিয়ার-১ ও টিয়ার-২। অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, যেখানে মাসে জমা রাখা যেতে পারে ন্যূনতম ৫০০ টাকা। আয়করের ধারা 80CCD (1B) এর অধীনে টিয়ার-১ অ্যাকাউন্টের উপর কর ছাড়ের সুবিধাও দেওয়া হয়। টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট অতিরিক্ত বিনিয়োগের জন্য খোলা যেতে পারে, এখানে ন্যূনতম বিনিয়োগ হল ১০০০ টাকা। টিয়ার-২ অ্যাকাউন্টে কোনও কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয় না এবং প্রয়োজনে টাকা তুলে নেওয়াও যেতে পারে।