
India China Relation : এক ট্রাম্পের শুল্ক (Donald Trump Tariff) আরোপ বদলে দিল ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক (India China Relation) সম্পর্ক। বৈরিতা ভুলে এখন অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছে চিন-ভারত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে-দুই দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন নয়াদিল্লিকে উদ্যোগ নিতে বলছে বেজিং।
চ্যালেঞ্জের মুখে ভারতের একটা বড় অংশ
ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে একতরফা শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে বিশ্ববাজারে । তার এই পদক্ষেপের পর, একদিকে আমেরিকান আদালত এটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের রফতানির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
চামড়া সহ অনেক খাত, যেখানে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন ছিল, তা এখন আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কারণে সংকটে পড়েছে। তবে, কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতগুলিকে আশ্বস্ত করেছে। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, যে কারণে অন্যান্য বাজারের দিকেও ঝুঁকছে নয়াদিল্লি।
আমেরিকাকে উচিত শিক্ষা দেবে ভারত
ট্রাম্পের আরোপিত উচ্চ শুল্কের পর ভারত তার নীতি পরিবর্তন করেছে। প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে পুরনো তিক্ততা ভুলে এখন সম্পর্কের উন্নতি উদ্যোগ নিয়ে নয়াদিল্লি। চিনা অ্যাপ সহ তার অনেক পণ্যের জন্য প্রবেশ পথ খোলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির উপরও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, মার্কিন শুল্কের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণের জন্য সরকার এখন সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভারত-চিনকে একসঙ্গে লড়াই করা উচিত
এদিকে, চিন ভারতের উপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সোমবার চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেছেন- ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের উপর আরোপিত ৫০ শতাংশ “অন্যায়” শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করে। তিনি আরও বলেন- ভারত ও চিনের উচিত এই চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।
এই বিষয়ে কী বলছে চিন
দুই প্রতিবেশী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন- ভারত ও চিন উভয়ই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লি সহ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। জাপানের বিরুদ্ধে চিনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার পর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের উপর “অতিরিক্ত” শুল্ক আরোপ করার জন্য শুল্ককে এক ধরনের ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত ও চিনের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।
(Feed Source: abplive.com)
