আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন এনডিএ–এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। সেই মতো আগামী ৯ জুলাই কলকাতায় আসার কথা শোনা যাচ্ছে দ্রৌপদী মুর্মুর। রাজ্য বিধানসভায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি তাঁর সাক্ষাৎ হবে, সেটাই কৌতূহলের বিষয় রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করা নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মুর নাম জানলে ভেবে দেখতাম। বিজেপি আগে আমাদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম জানায়নি।’ তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হয়। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দ্রৌপদী মুর্মুর নাম তৃণমূল নেত্রী আগে জানলে তাঁকেই সমর্থন করতেন। এই প্রশ্ন যখন রাজনৈতিক মহলে মাথাচাড়া দিচ্ছে, ঠিক তখনই এমডিএ–র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর কলকাতা সফরে আসার কথা শোনা যাচ্ছে। দ্রৌপদী মুর্মু কলকাতায় এলে একদিকে যেমন তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হয় কিনা, সেই দিকে চোখ থাকবে, অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে কী বলেন, সেই বিষয়েও চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন চেয়ে ফোন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এবার সরাসরি কলকাতায় আসছেন তিনি। তবে এবারে যিনি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নির্বাচনের ময়দানে রয়েছেন, সেই যশবন্ত সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রীর অবস্থান এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দ্রৌপদী মুর্মুর হয়ে সমর্থন চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
(Source: hindustantimes.com)