)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এদিকে উত্তরবঙ্গ (North Bengal), ওদিকে নেপাল (Nepal)! পোস্ট-মনসুন (Post-Monsoon)-পর্বে দু’জায়গাতেই ভয়াল অবস্থা। বৃষ্টি, বন্যা, ধস, ফ্ল্যাশফ্লাডে প্রায় বিভীষিকার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নেপালের পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে। ২২ থেকে সেখানে মৃতের সংখ্যা একলাফে দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেপালে ভারী বৃষ্টিতে (Nepal Heavy Rain) ভূমিধস নেমেছে। আকস্মিক বন্যা ও এই ধসে এখনও পর্যন্ত মোট ৪২ জনের মৃত্যুর ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
নেপালে বন্যা
নেপালের কিছু অংশ শুক্রবার থেকে প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে চলছে দুর্যোগ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একাধিক নদীতে জারি করেছে বন্যা-সতর্কতা। নেপালে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার একজন দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। নেপালের কিছু অংশ শুক্রবার থেকেই জলমগ্ন হয়ে আছে। এর জেরে একাধিক নদীতে জারি বন্যা-সতর্কতা।
সারা রাতের ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস
নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বলেন, এখন পর্যন্ত, বৃষ্টিজনিত দুর্যোগে ৪২ জন মারা গিয়েছেন এবং ৫ জন নিখোঁজ।
পূর্বের ইলাম জেলায় ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন। স্থানীয় জেলা কর্মকর্তা বলেন, সারা রাতের ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হয়েছে। রাস্তা বন্ধ থাকায় কিছু এলাকায় পৌঁছনো কঠিন হয়ে পড়ছে। উদ্ধারকর্মীরা কোনও রকমে হেঁটে পৌঁছচ্ছেন সেখানে।
হাইওয়ে বন্ধ, বিমান চলাচল ব্যাহত
রাজধানী কাঠমান্ডুর নদীগুলিতেও জলস্তর বেড়েছে। নদীতীরবর্তী বসতিগুলো প্লাবিত হয়েছে। উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে হেলিকপ্টার ও মোটর বোট নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি হাইওয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ফলে শত শত যাত্রী– যাঁদের অনেকেই দশেরার পরে ফিরছিলেন– আটকে পড়েছেন।
কেন এই বিপর্যয়?
মৌসুমি বৃষ্টিপাত সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হয়। যা প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই বৃষ্টিপাতের সময়সূচি, পৌনঃপুনিকতা (ফ্রিকোয়েন্সি) এবং তীব্রতাকে ক্রমশ আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
(Feed Source: zeenews.com)
