মাথা ঘামাতে নারাজ কৃষ্ণনগরের এই সাংসদ
তবে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে নারাজ কৃষ্ণনগরের এই সাংসদ। এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও এই বিষয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মহুয়া মৈত্র’র এহেন বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যাতে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যে নিজেকে কখনও হিন্দু আবার কখনও মা কালীর উপাসক হিসাবে প্রমাণ মরিয়া সাংসদ। বিতর্কের মধ্যেই প্রথমে হোয়াটস অ্যাপ ডিপিতে একটি তারা মায়ের ছবি দেন। এরপর সেটি বদলে তিলক পড়া অবস্থায় মহুয়া তাঁর একটি ছবি দিয়েছেন। রথযাত্রা অংশ নেওয়ার একটি ছবি সেটি বলেই খবর।
মহুয়া মৈত্র তাঁর টুইটে লেখেন…
অন্যদিকে বিতর্কের মধ্যেই বুধবার রাতে মহুয়া মৈত্র তাঁর টুইটে লেখেন, এমন ভারতে আমি বাস করতে চাই না যেখানে বিজেপি’র পুরুষতান্ত্রিক ব্রাহ্মণবাদী হিন্দুত্ববাদ একমাত্র জায়গা করে নেবে। বাকি সবকিছুই আবর্ত হবে ধর্মের উপর ভিত্তি করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাংসদ আরও লেখেন, আমৃত্যু আমি এর প্রতিবাদ করে যাব। আপনারা যত খুশি এফআইআর করুন। প্রত্যেকটা আদালতেই আমি আপনাদের মুখোমুখি হব বলে দাবি তৃণমূল নেত্রীর।
তীব্র ভাষায় আক্রমণ
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ২৯৫ (এ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মন্তব্যের পরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। তিনি জানিয়েছেন, বিন্দু দেবদেবীর অপমান কোনও মূল্যে সহ্য করা হবে না। অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, বিজেপি’র তরফেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে শাসকদলের এই সাংসদকে।
প্রতিবাদের ঝড় দেশজুড়ে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদ বলেন, তাঁর কাছে কালী মানে যিনি মাংস খান। এমনকি সুরা পান করেন বলেও মন্তব্য করেন। আর এরপরেই প্রতিবাদের ঝড় দেশজুড়ে।