#নয়াদিল্লি: অগ্নিপথ (Agnipath) নিয়োগ প্রকল্পের ঘোষণার পরেই দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নতুন নিয়োগ পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রইল এবং ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর তারিখও ঘোষণা করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভার্চুয়াল একটি বৈঠকে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি (VR Chaudhari) জানান, আগামী সপ্তাহের ২৪ জুন থেকেই শুরু হতে চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেনাবাহিনী এবং নৌ-বাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। তাতে বলা হয় যে, এবার থেকে মাত্র ৪ বছরের জন্যই নিয়োগ হবে সেনাবাহিনীতে। কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত ব্যয়ভার কমানোর জন্যই এই নয়া নিয়ম আনা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। ভারত সরকার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য চার বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে। এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে অগ্নিপথ মিলিটারি স্কিম। সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, এর অধীনে নিযুক্ত প্রার্থীদের শুধুমাত্র চার বছরের জন্যই প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘোষণার পর থেকেই প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। তীব্র আন্দোলনে পথে নেমেছে যুবকরা। দেশের বিভিন্ন অংশে প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে দেখানো হচ্ছে। তবে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হওয়া সত্ত্বেও দেশের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানরা এই নতুন নিয়োগ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে (Manoj Pande)-র একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের (অগ্নিপথের অধীনে নিযুক্ত) প্রশিক্ষণ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হবে। এর অর্থ হল, এই নতুন প্রকল্পের প্রথম ব্যাচকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই কাজে নিযুক্ত করা যাবে। নৌ-বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের (R Hari Kumar) দেওয়া একটি বিবৃতি প্রকাশ করে নৌ-বাহিনী জানায়, তারাও শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর হরি কুমার অগ্নিপথ প্রকল্পকে ‘বাহিনীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলির মধ্যে একটি’ হিসাবে অভিহিত করেছেন।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেছেন, “নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিলকরণের মাধ্যমে আমরা যুবকদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব পোষণ করেছি।” ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স (Department of Military Affairs)-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এবার আসা যাক বিক্ষোভের প্রসঙ্গে। এই ঘোষণার পরেই যুবকদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পাতিয়ালা, ফিল্লউর, তালওয়াড়ার বিভিন্ন স্থানে যুবকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। পাতিয়ালায় যুবকরা এই দিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগানের মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।