
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘ধুরন্ধর’ ছবির ট্রেলারে যখনই দেখা গেল-অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা, তখনই নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় জোরদার খোঁজ-খবর। অনেকেই ধরে নিলেন, এটি হয়তো দেশের অন্যতম সাহসী সেনা অফিসার, শহীদ মেজর মহিত শর্মার জীবনকে কেন্দ্র করেই তৈরি।
ট্রেলারে আন্ডারকভার মিশনের ইঙ্গিত দেখে বহু দর্শক মনে করেন, রণবীর সিংয়ের চরিত্র সম্ভবত মেজর মহিত শর্মাকে নিয়েই। কারণ বাস্তবে মোহিত শর্মা পাকিস্তানে ‘ইফতিখার ভাট’ পরিচয়ে হিজবুল মুজাহিদীনে সফলভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন, যা ভারতের অন্যতম সাহসিকতাপূর্ণ গোপন অভিযান হিসেবেই ধরা হয়। ২০০৯ সালে কুপওয়ারায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে শহীদ হওয়ার পর মেজর মোহিত শর্মাকে দেশের সর্বোচ্চ শান্তিকালীন সম্মান অশোক চক্র প্রদান করা হয়।
এছাড়াও দর্শকদের একাংশ ট্রেলারের চরিত্রদের বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন -আর. মাধবনের (R. Madhavan) অজয় সান্যালকে অনেকে অজিত দোভাল মনে করেন, অক্ষয় খন্নার (Akshay Khanna) রহমান ডাকাইট চরিত্রকে বাস্তবের ডাকাইটের সঙ্গে মিল খুঁজে দেখেন। সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) এসপি চৌধুরী আসলামকে মনে করানো হয় চৌধুরী আসলাম খানকে, আর অর্জুন রামপালের (Arjun Rampal) মেজর ইকবাল আইএসআইকে ইলিয়াস কাশ্মিরির ছায়া ভাবেন অনেকেই।
এমন জল্পনার মাঝেই মেজর মোহিত শর্মার ভাই মধুর শর্মা এক্স-এ প্রশ্ন তোলেন- ছবিটি কি সত্যিই তাঁর ভাই মোহিত শর্মার জীবনের উপর? উত্তরস্বরূপ পরিচালক আদিত্য ধর স্পষ্ট জানান, ‘ধুরন্ধর’ মোটেও মেজর মহিত শর্মার জীবনের উপর ভিত্তি করে নয়।
পরে মহিত শর্মা মেমোরিয়াল ট্রাস্টও আদিত্যর বক্তব্য রিটুইট করে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছে-অবশেষে পরিচালক আদিত্য ধর নিশ্চিত করলেন যে ‘ধুরন্ধর’ মেজর মোহিত শর্মার জীবনের উপর নয়।
আদিত্য ধর আবারো পোস্ট করে জানান, ‘আমাদের ছবি ‘ধুরন্ধর’ মেজর মোহিত শর্মার জীবনের উপর নয়। ভবিষ্যতে যদি আমরা কখনও তাঁর জীবনের উপর ছবি তৈরি করি, তাহলে পরিবারের পূর্ণ সম্মতি নিয়েই করব এবং তাঁর ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে করব। জয় হিন্দ।’
এদিকে রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পাচ্ছে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, আর ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই ছবিটি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
(Feed Source: zeenews.com)
