শুরুটা করেছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা বীরাপ্পা মইলি। তারপর সেটা পাকে সোনিয়া–মমতার সাক্ষাতে। যা চূড়ান্ত রূপ নেয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলকে নিশানা করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। একইসঙ্গে কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্য হবে বিজেপিকে হারানো বলেও বাংলায় দলীয় মুখপাত্রদের নির্দেশিকা দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। অযথা তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা যাবে না বলে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের মুখপাত্রদের প্রধান জয়রাম রমেশ প্রদেশ নেতৃত্ব এবং রাজ্য মুখপাত্রদের এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলায় বিজেপি যাতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতো ফায়দা তুলতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
তাহলে কী কংগ্রেস–তৃণমূল জোট হচ্ছে? এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও কথা এগোয়নি। তবে বিরোধীদের জোটকে সম্মান দেবে কংগ্রেস বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে কংগ্রেস জোট করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। যার মূল লক্ষ্য হবে বিজেপিকে পরাস্ত করা।
কেমন করে পাকল বিষয়টি? সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডাকেন। সোনিয়া গান্ধী তাঁকে সমর্থন করে তিন প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ, রণদীপ সুরজেওয়ালাকে পাঠান। তারপরই রাহুল গান্ধীকে ইডি’র জেরার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতাও বার্তা দেন। এবার কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে বুঝিয়ে দিল জয়রাম রমেশের বার্তায়।
এরপর কী হতে চলেছে? কংগ্রেস সূত্রে খবর, কিছুদিনের মধ্যেই আবার তৃণমূল কংগ্রেস–কংগ্রেসের মধ্যে বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপরেখা তৈরি হতে পারে। বিরোধীদের এককাট্টা করতে এই দুই দল অগ্রণী ভূমিকা নেবে। কারণ বিজেপি পিছনের দরজা দিয়ে যেভাবে একের পর এক সরকার ফেলে দিয়ে নিজেরা দখল করছে তা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
(Source: hindustantimes.com)