তোমরা বিদেশে চলে গেলে, দেশ ও রাজ্য কারা চালাবে? রাজ্যের যুবাদের প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন বিদেশে পড়াশুনো করে ফিরে এসো দেশে। কারণ এই মাটিই তোমার মাতৃভূমি। বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১১ সালে রাজ্যে মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুবাদের মধ্যে রাজ্যছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। যার জেরে উচ্চশিক্ষিত হোক বা সাধারণ শিক্ষিত, কাজের খোঁজে রাজ্য ছাড়তে হচ্ছে সবাইকে। উচ্চশিক্ষিতরা কেউ বিদেশে, কেউবা বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, মুম্বই ও দিল্লির মতো শহরে পাড়ি দিচ্ছেন। আর সাধারণ শিক্ষিতরা যাচ্ছেন পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে শ্রমিকের কাজ করতে বা গাড়ি চালাতে। করোনার লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থতার ছবিটা স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে দাবি তাদের।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘কেউ কেউ আমরা ভাবি, হার্ভাডে পড়তে যাব, কেম্ব্রিজে পড়তে যাব। কিন্তু আমাদের ঘরের ছেলেরাই যে হার্ভাড চালায়, কেম্ব্রিজ চালায় সেটা কি আমরা কখনও চিন্তা করে দেখেছি’?
মুখ্যমন্ত্রীর অনুযোগ, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা গ্রাজুয়েট হল, ব্যাস, আমেরিকায় চান্স পেয়ে গেল, ইউকে তে চান্স পেয়ে গেল, জার্মানে চান্স পেয়ে গেল এবং তারা বাইরে গিয়ে আস্তে আস্তে সেটলড হচ্ছে। আমার খালি একটাই কথা। আমার একটাই রিকুয়েস্ট রিকোয়েস্ট থাকবে আমাদের নিউ জেনারেশন স্টুডেন্ট এবং ইউথকে, সবাই যদি তোমরা ভাই চলে যাও ভাই বোনেরা আমার, তাহলে দেশে কারা থাকবে? রাজ্যে কারা থাকবে? শিক্ষা কারা চালাবে? সংস্কৃতি কারা চালাবে? অর্থনীতি কারা চালাবে? তোমরা যাও, পড়াশুনো করো, ফিরে এসো। ফিরে এসে মাতৃভূমিকে ভুলো না। জন্মভূমিকে ভুলো না। কর্মভূমিকে ভুলো না। ধর্মভূমিকে ভুলো না। পিতৃভূমিকে ভুলো না। এই মাটিতেই আবার ফিরে এসো। মনে রেখো, এই মাটি তোমায় যা দিতে পারে আর কোনও মাটি দিতে পারে না’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বৃত্তিমূলক শিক্ষায় প্রায় ৩০,০০০ শূন্যপদ সরকারের হাতে রয়েছে। খুব দ্রুত জব ফেয়ারের মাধ্যমে সেই পদগুলিতে যুবাদের নিয়োগ করা হবে।
(Source: hindustantimes.com)