
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘ধুরন্ধর’ দেখার অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন হৃতিক। পর্দায় যে আতিশয্য় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। হৃতিক লেখেন, ‘আমি সিনেমাকে ভালবাসি। সেই সব মানুষকে ভালবাসি, যাঁরা শিখরে পৌঁছেও কাহিনির কাছে নিজেকে সঁপে দেন, যা বলতে চাইছেন, তা পর্দায় ফুটে না ওঠা পর্যন্ত সেই কাহিনিই তাঁদের চালনা করে। ‘ধুরন্ধর’ তেমনই এক উদাহরণ। গল্প বলার ধরন দারুণ। এটা সিনেমা’। (Dhurandhar Film)
কিন্তু চলচ্চিত্রপ্রেমী হিসেবে ‘ধুরন্ধরে’র আতিশয্যকে এগিয়ে রাখলেও, যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে ছবির মাধ্যমে, তা যে তিনি সমর্থন করেন না, তাও পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দেন হৃতিক। তিনি লেখেন, ‘আমি হয়ত (ছবির) রাজনীতির ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করি। বৈশ্বিক নাগরিক হওয়ার দরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমাদের কী দায়িত্ব পালন করা উচিত, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কেও যেতে পারি আমি। কিন্তু সিনেমার শিক্ষার্থীর হিসেবে যা শিখলাম, তা এড়িয়ে যেতে পারি না। অসাধারণ’। (Hrithik Roshan on Dhurandhar)
‘ধুরন্ধর’ ছবির পরিচালক আদিত্য ধর। এর আগে ‘উরি’, ‘আর্টিকল ৩৭০’র মতো ছবি বানিয়েছেন তিনি। নিজের ছবিতে উগ্র জাতীয়তাবাদ তুলে ধরেন আদিত্য, এমন সমালোচনাও শোনা গিয়েছে। ‘ধুরন্ধর’ ছবির প্রেক্ষাপট হিসেবে রাখা হয়েছে ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তদানীন্তন UPA সরকারকেও। কেন্দ্রের বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকারের অনুগামী হিসেবে পরিচিত আদিত্যর এই ছবিও ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে দাবি উঠতে শুরু করেছে। সেই আবহেই হৃতিকের এই পোস্ট বিতর্ক আরও উস্কে দিল বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে বিতর্ক সত্ত্বেও বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘ধুরন্ধর’। প্রথম সপ্তাহেই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ছবিটি। আশেপাশে আপাতত আর কোনও বড় ছবির মুক্তি নেই। সেই সঙ্গে বড়দিন, বর্ষবরণের ছুটিও এসে যাচ্ছে। ফলে সবমিলিয়ে ৫০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
(Feed Source: abplive.com)
