Shivraj Patil Passes Away: প্রয়াত প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! কংগ্রেস নেতা শিবরাজ পাটিলের বয়স হয়েছিল ৯০, শোকার্ত রাজনৈতিক মহল…

Shivraj Patil Passes Away: প্রয়াত প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! কংগ্রেস নেতা শিবরাজ পাটিলের বয়স হয়েছিল ৯০, শোকার্ত রাজনৈতিক মহল…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাতবার লোকসভা নির্বাচন জিতে নজির গড়েছিলেন। দলের ভেতরে ও বাইরে, দুই ক্ষেত্রেই ছিলেন শান্ত স্বভাব, ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য আর সাংসদীয় শিষ্টতার জন্য বিশেষ পরিচিত। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন তাঁর! তিনি শিবরাজ পাটিল (Shivraj Patil)। শিবরাজ পাটিল ছিলেন দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ সাংসদ। লোকসভার স্পিকারের (Lok Sabha Speaker) দায়িত্ব সামলেছেন, ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও! কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষত UPA আমলে।

শিবরাজের মৃত্যুতে

শিবরাজ পাটিলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের মতে, তাঁর পরিণত নেতৃত্ব, সংসদীয় অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা ভারতীয় রাজনীতির এক মূল্যবান অধ্যায় হয়ে থেকে গেল। শিবরাজ পাটিল লোকসভার প্রাক্তন স্পিকারও ছিলেন। আজ, শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের লাতুরে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

পরিবারসূত্রে

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আজ ভোর সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর পরিবারে রয়েছেন ছেলে শৈলেশ পাটিল, পুত্রবধূ অর্চনা, যিনি আবার বিজেপি নেত্রীও। দুই নাতনিও রয়েছে।

রেকর্ড

১৯৩৫ সালের ১২ অক্টোবর জন্ম শিবরাজের। রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু নিজের শহর লাতুরেই। পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে পুরপ্রধান হয়েছিলেন। ৭০-র দশকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। পরে টানা সাতবার– ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ সালে– লাতুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন। শেষবার, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির রুপাতাই পাটিলের কাছে পরাজিত হন।

কেরিয়ারে ওঠা-পড়া

১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত লোকসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শিবরাজ। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও চণ্ডীগঢ়ের প্রশাসনিক প্রধান পদে ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন শিবরাজ পাটিল। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে তা আটকাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নৈতিক দায়িত্ববোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। একদিকে যেমন সুদক্ষ প্রশাসক ছিলেন, তেমনই ছিলেন মিষ্টভাষী।

(Feed Source: zeenews.com)