
গত বছর বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইউনূস। কিন্তু নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ক্ষমতায় আসার পরও স্থিতাবস্থা ফেরেনি বাংলাদেশে। বরং সাম্প্রদায়িক হিংসা, লুঠপাট চরমে ওঠে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে একসময় নাকি কুর্সি ছাড়তে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। তা নিয়ে কিছুদিন টানাপোড়েন পর্ব মিটিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদেই বহাল থাকেন নোবেলজয়ী। কিন্তু, তাঁর সিংহাসনে যে কাঁটা বিছানো, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন তিনি। কারণ, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে কয়েক মাস আগে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। চাপ বাড়াতে থাকে খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। এনিয়ে গত জুন মাসেই দেশের বাইরে থেকেই ইউনূসের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন খালেদা-পুত্র। হুঁশিয়ারি দিয়ে বুঝিয়ে দেন, ইউনূসে আস্থা নেই তাঁদের। তারেক রহমানের কথাতেই স্পষ্ট সেই ইঙ্গিত মেলে, ‘সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে কারো কারো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’ সেই পরিস্থিতিতে ইউনূস বলেছিলেন, “আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই ২০২৬-এর এপ্রিলের প্রথম অর্ধে যে কোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” Bangladesh News
(Feed Source: abplive.com)
