কলকাতা: ক্যানিংয়ের (canning)ঘটনার পর রাজ্যের (state)আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির (law and order)অবনতির অভিযোগে কড়া সমালোচনার মুখে তৃণমূল (tmc) প্রশাসন। কার্যত একসুরে বিঁধল বাম-বিজেপি।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে টাওয়ার তৈরিতে ব্যস্ত, ক্যানিংয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। ঘটনাটি তৃণমূলের ‘অভ্যন্তরীণ লড়াই’, বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা।
ক্য়ানিংয়ের ঘটনায় তিন তৃণমূল নেতাকে প্রথমে কুপিয়ে, তার পর গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার দাবি, গোটাটার নেপথ্যে বিজেপি। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ পিসির জন্য ৭ হাজার, ভাইপোর জন্য ৪ হাজার। আর বিরোধী দলনেতাকে আটকানোর কাজ করে। ওই জন্য গুন্ডাদের হাতে চলে গিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নেই। সেই জন্য প্রত্যেকদিন হয় ধর্ষণ হচ্ছে, নয়তো খুন হচ্ছে।’
সরব সুজন চক্রবর্তী
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (sujan chakraborti)। তাঁর কথায়, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে খুন এবং শুটআউট, এ সমস্ত ফিল্মি গল্পগুলোকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক বলছেন, আমিও খুন হতে পারি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশে জেলখানা করা হচ্ছে। কারও নিরাপত্তা নেই?’ সিপিএম নেতার প্রশ্ন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দাপটের রাজনীতি শুরু হয়ে গেল? প্রসঙ্গত, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ক্যানিংয়ের পিয়ারের পার্ক এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি। সঙ্গে ছিলেন আরও ২ জন। তখনই গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
এ রাজ্যে রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু থেকে পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত, নিহতের তালিকায় হালেও একের পর এক নাম উঠেছে। বগটুই হত্যালীলা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু রক্তপাত থামছে না কিছুতেই।
(Source: abplive.com)