#কলকাতা: আজকাল মানুষের শরীর নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণগুলির মধ্যে নিঃসন্দেহে চুল পড়া শীর্ষে থাকবে। চুল পেকে যাওয়াও আধুনিক দৈনন্দিন জীবনের আরও একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। যদিও কেউ কেউ এই সমস্যাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু চুল পড়ার সমস্যাকে উপেক্ষা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ অজ্ঞতা এবং অসাবধানতা চুল পড়ার সবচেয়ে বড় দুটি শত্রু (Hair Fall Problems)।
কখন সতর্ক হওয়া দরকার?
চুল পড়ার সমস্যা কখনওই একদিনে হয় না। আমাদের স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা জটিলতর হতে থাকে। তাই ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হওয়া দরকার জেনে নেওয়া যাক-
পুরুষদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার ইঙ্গিত হল কপাল থেকে সামনের দিকে চুলের রেখা ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাওয়া এবং মহিলাদের চুলের রেখা মাথার মধ্যভাগ থেকে পাতলা হতে শুরু করে।
মাথার ক্রাউন অংশে বা তালুতে চুল অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যাওয়া কিংবা পিছন থেকে সামনের দিকে টাক পড়া।
বালিশে বা বাথরুমের ড্রেনে চুল পড়া বেড়ে যাওয়া। মাথার ত্বকে চুলকানি চুল পড়ার অন্যতম প্রধান একটি কারণ। এটি সাধারণত মাথার লোমকূপে ময়লা জমলে এবং তা অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে হতে পারে।
চুল পড়া অবহেলা করা উচিত নয় কেন?
চুল পড়া এবং নতুন চুল গজানো একটি চক্রের মতো চলতে থাকে। সেক্ষেত্রে দৈনিক ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। আর এর চেয়ে বেশি চুল পড়লেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে বইকি! আসলে অতিরিক্ত চুল পড়া আমাদের শারীরিক কোনও অবস্থার কিংবা পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই চুল পড়ার পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে সাধারণত, সেটাও জেনে রাখা জরুরি-
জেনেটিক কারণে একটি বয়সের পর চুল পড়তে পারে।
সেলেনিয়ামের ঘাটতিতে শরীরে থাইরয়েডের মতো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলে চুল পড়া বাড়ে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার আরেকটি কারণ।
বায়োটিন, ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ডি-এর ঘাটতি থেকে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
মানসিক চাপ থেকে থেকে অকালে চুল পড়তে পারে।
সময়ে চিকিৎসা করালে কী লাভ হয়?
অবহেলা করলে প্রাথমিকভাবে যা চিরুনি দিয়ে কয়েকটা চুল পড়ায় সীমাবদ্ধ ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি হাতের নাগালে চলে যেতে পারে। তাই সময় মতো চিকিৎসা কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে মাথায় রাখা দরকার-
শুরুতেই সমস্যাটির চিকিৎসা করা সহজ। কিছু ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে মৃত চুলের ফলিকল পুনরুজ্জীবিত করা যায় না।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণই আগামী দিনে চুলের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে।
প্রোটিন এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েন্ট দিয়ে চিকিৎসা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
তবে মনে রাখতে হবে যে একেবারে অল্প সময়ে সমস্যার সমাধান খোঁজা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। সেরকম কোনও পথ বেছে নিলে তার পরেও পছন্দমতো ফল নাও মিলতে পারে।