তরুণ মজুমদারের ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিচালকের পারলৌকিক কাজ করলেন দেবশ্রী

তরুণ মজুমদারের ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিচালকের পারলৌকিক কাজ করলেন দেবশ্রী

কলকাতা: তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) স্মৃতিতে, তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ পুজো-অর্চ্চনার আয়োজন করলেন দেবশ্রী রায় (Debashree Roy) এবং অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (Ayan Banerjee)। দেবশ্রীর কথায়, প্রয়াত পরিচালকের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতেই এই আয়োজন করেছেন তিনি।

তরুণ মজুমদারের সঙ্গে দেবশ্রী রায়ের সম্পর্ক ছিল বাবা আর মেয়ের মতোই। সিনেমায় দেবশ্রীর নামকরণও করেছিলেন তরুণ মজুমদার। প্রয়াত পরিচালকের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন দেবশ্রী। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় এদিন শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত রইলেন দেবশ্রী এবং শ্রীমান পৃথ্বীরাজের অভিনেতা অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবিপি আনন্দকে দেবশ্রী বললেন, ‘তরুণ মজুমদারের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই তাঁর ছোট মেয়ে হিসেবে আমি তাঁর পরলৌকিক কাজটা করলাম। উনি চিরকালই চাইতেন ওঁর কিছু হলে আমরা যেন ওঁর কাজ করি। ওঁর সেই ইচ্ছাপূরণ করতে পেরে ভীষণ শান্তি পাচ্ছি আমি।’

এছাড়াও দেবশ্রী বলেন, ‘উনি মাটির তাল থেকে শিল্পী তৈরি করতেন। অনেককেই হয়ত শিল্পী গড়ে তুলেছেন উনি। আমি খুব ভাগ্যবান যে আমি তাঁদের মধ্যে একজন। তরুণ মজুমদারের পারলৌকিক ক্রিয়া করা ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।’

তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর দিন দেবশ্রী রায় বলেছিলেন,’ ওনার দেওয়া নাম, উনি তৈরি করেছেন, কত শিল্পীকে গড়েছেন উনি। তারমধ্যে আমিও একজন। দেবশ্রী নাম, শিক্ষা সবই ওনার থেকে পাওয়া। একটু একটু করে শিল্পীকে তৈরি করেন। যেমন মূর্তি তৈরি করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। উনি সেই অভিনয়কে প্রাণ দিয়েছেন। ‘

সাল ১৯৭১, তরুণ মজুমদারের ছবি কুহেলিতে রাণুর চরিত্রে কাজ করলেন দেবশ্রী রায়। সাল ১৯৮৫। তখন সবে ২০ পেরিয়ে ২৩ এর পথে দেবশ্রী রায়। আর সেই বছরই যে, দেবশ্রীকে আপন করে নেবে সারা বাংলা, তা তিনি তখনও জানতেন না। কারণ সেই বছরই মুক্তি পায় ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। একদিকে তাপস পাল, অন্য দিকে উৎপল দত্ত, মাধবী মুখোপাধ্যায়, একের পর এক রত্ন খচিত শিল্পীরা এই ছবিতে ছিলেন। আর তেমনই গল্প, মন ছোঁয়া গান। সব মিলিয়ে, ইন্ড্রাস্ট্রিতে দেবশ্রীর পাকা ভিত গড়ে দেন তরুণ মজুমদার।

আর সেকথা অকপটে স্বীকারও করেছে তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর দিন দেবশ্রী বলেছিলেন,’ আমার বাবা চলে গেলেন।’

(Source: abplive.com)