কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার উপর জিএসটি প্রযোজ্য নয়, সাফ জানিয়ে দিল সিবিআইসি

কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার উপর জিএসটি প্রযোজ্য নয়, সাফ জানিয়ে দিল সিবিআইসি

#নয়াদিল্লি: বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা নিজেদের কর্মচারীদের সাধারণত বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে পানীয়-ক্যান্টিন সুবিধা, ফ্রি পার্কিংয়ের জায়গা, জার্নাল সাবস্ক্রিপশন ইত্যাদি। এমনকী কখনও কখনও গ্রুপ মেডিকেল ইনস্যুরেন্সের সুবিধাও দিয়ে থাকে ওই সব সংস্থা। আর এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সংস্থা ও তার কর্মচারীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক হলে আর সেগুলি এখন থেকে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি (GST)-র আওতায় পড়বে না।

এই আইন সমান ভাবে যাতে লাগু হয়, সেই বিষয়টা সুনিশ্চিত করতে কর্মচারীদের জন্য ‘অনুমোদনের করযোগ্যতা’ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস বা সিবিআইসি (CBIC)। নিজেদের ফিল্ড অফিসারদের কাছ থেকে চাওয়া ব্যাখ্যার জবাবেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

একটি সিএ (CA) ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা সুনীল গাভাওয়ালা বলেছেন যে, “কিছু মাস ধরে একটা ধারণা সবার মধ্যে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। যেহেতু নিয়োগকারী সংস্থা ও কর্মচারী সংশ্লিষ্ট পক্ষ গঠন করে, এর ফলে পূর্বে প্রদত্ত যে কোনও পারকুইজিটের ন্যায্য বাজার মূল্যের উপর লাগবে জিএসটি। এই ধারণাকে স্পষ্টীকরণের মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে।” এর আগে, ২০১৭ সালে, একই বিষয়ে একটি প্রেস নোট জারি করেছিল সিবিআইসি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির গুরুত্ব অনেক বেশি। কেপিএমজি ইন্ডিয়ার ইনডিরেক্ট ট্যাক্স পার্টনার অভিষেক জৈন বলেছেন যে, যদিও সার্কুলারে ‘কনট্রাকচুয়াল এগ্রিমেন্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর ব্যাপক প্রয়োগ থাকতে পারে এবং সাধারণ ভাবে এইচআর নীতিগুলিও কভার করতে পারে।

আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে অনেক সময় সমস্ত কর্মচারীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়, যা হয়তো কোনও কর্মসংস্থানগত চুক্তির অংশ হয় না। বরং সেটা একটি সাধারণ কর্পোরেট নীতি‌ হয়। আর এটি যাতে জিএসটি-র আওতায় না-আসে, অর্থাৎ সেটি কভার করার বিষয়েও যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। আবার বহু সংস্থা কর্মীদের পরিবহণ অথবা ক্যান্টিন সুবিধা দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছ থেকে নামমাত্র কিছু টাকা নিয়ে থাকে। আর এই সমস্ত টাকা দেওয়া হয় তৃতীয় পক্ষ বা সরবরাহকারীদের। তবে এটি জিএসটি-র অধীনে পড়বে কি না, সে বিষয়ে অগ্রিম রায় চাওয়া হয়েছে। কর বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি জিএসটির মধ্যে পড়া উচিত নয়, তবে এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।

Published by:Debalina Datta

(Source: news18.com)