আদালতের নির্দেশ পেলেই শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে:‌ ব্রাত্য

আদালতের নির্দেশ পেলেই শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে:‌ ব্রাত্য

বছরের পর বছর ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে। সেই সঙ্গে শিক্ষা কর্মী নিয়োগও বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার যে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগে আগ্রহী, সেকথা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, ‘‌আদালতের নির্দেশ পেলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।’‌

শুক্রবার তৃণমূল ভবনে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘‌রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাইছি। আমরা দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলগুলিতে তৈরি হওয়া শূন্যপদ পূরণ করতে চাইছি। কিন্তু এই মুহূর্তে সার্ভার রুম বন্ধ থাকায় কাজের সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, মহামান্য আদালত সুবিচার করবেন।’‌ এদিন শিক্ষামন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেক্ষেত্রে তিন বছর সময় লাগতে পারে। রাজ্য সরকার যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের জট কাটার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে, তা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।

ইতিমধ্যে শুধু এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেই নয়, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এসএসসি ও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্ত চালাচ্ছে ইডিও। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই ও ইডির নজরে রয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথায় কী দুর্নীতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী। এদিকে আদালতের জটিলতার মধ্যে পড়ে ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অগ্রগতি হয়। পাশাপাশি ২০১৫ সালের পর থেকে শিক্ষা কর্মী নিয়োগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আইনি জটিলতার মধ্যে পড়ে থমকে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।