India
oi-Kousik Sinha
জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই এআইএডিএমকে’র মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষমতার লড়াই। তবে সেই লড়াই এবার শেষের পথে। পালানিস্বামীকেই দলের অন্তবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করার পরেই সেই লড়াই শেষ হতে চলেছে। পালানিস্বামীকেই ওই পদে নিযুক্ত করার পরেই এআইডিএমকে থেকে পনিরসেলভামকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
যা দক্ষিণের রাজনীতিতে কার্যত নয়া মোড় এনে দিয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে তালিমনাড়ু’র রাজনীতিতে একাধিক উত্থান-পতন ঘটেছে। সেটিই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।
১) পাঁচ ডিসেম্বর, ২০১৬ সাল- ৭৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু জয়ললিতার।
২) ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ সাল- জয়ললিতার দীর্ঘদিনের সঙ্গী শশীকলাকে অন্তবর্তী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করল দল।
৩) পাঁচ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সাল- মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পনিরসেলভাম। আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্যে শশীকলাকে বেছে নেওয়া হয়।
৪) সাত ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সাল- শশীকলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন ও পনিরসেলভাম।
৫) ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭ সাল- হিসাব বহির্ভুত সম্পত্তির মামলায় শশিকলা আরও তিনজনকে দোষী সাবস্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। এআইএডিএমকে’র দলনেতা হিসাবে পালানিস্বামীকেই বেছে নিলেন শশিকলা। নিজের ভাইপো ধিনাকরণকে দিলেন সহ সাধারণ সম্পাদকের পদ।
৬) ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭ সাল- এরপর মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্যে শপথ নিলেন পালানিস্বামী।
৭) ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭ সাল- বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হলেন পালানিস্বামী। এরপর ধিনাকরণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা হয় দলের মধ্যে।
৮) অগস্ট ২১, ২০১৭ সাল- পনিরসেলভাম এবং পালানিস্বামী একজোট হলেন। পনিরসেলভাম হলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। এবং পালানিস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই দায়িত্ব সামলালেন।
৯) সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭ সাল – ধিনাকরণকে সমর্থন করেছিলেন এমন ১৮ জন বিধায়ককে বহিস্কার করেন স্পিকার।
১০) এপ্রিল, ২৭, ২০১৮ সাল- এরপর দীর্ঘদিন চলে শুনানি। আর শুনানিতে ১৮ জন বিধায়কের বহিস্কারের সিদ্ধান্তকে স্থগিতাদেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
১১) ২০১৯ সাল ২৩ মে- উপ নির্বাচনে এআইএডিএমকে ২১ টি আসনে’র মধ্যে ৯টিতে জয়ী হল। এরপর বিধানসভায় শক্তি বাড়াল দল।
১২) সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০ : পনিরসেলভাম এবং পালানিস্বামী মধ্যে নতুন করে দন্দ শুরু হয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ফের একবার ডামাডোল শ্যরু হয়ে যায়।
১৩) অক্টোবর ৭, সাল ২০২০- ও পনিরসেলভাম মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসাবে পালানিস্বামীর নাম ঘোষণা করেন।
১৪) ডিসেম্বর ৬, ২০২১ সালঃ পনিরসেলভাম এবং পালানিস্বামী দুজনকে যথাক্রমে কোর্ডিনেটর এবং জয়েন্ট কোর্ডিনেটর হিসাবে নির্বাচন করা হয় দলের।
১৫) জুন ২০, ২০২২ সালঃ নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক সে রাজ্যে। জেনারেল কাউন্সিলের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পালানিস্বামীর সমর্থকরা।
১৬) জুন ২২, ২০২২ সালঃ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জেনারেল কাউন্সিলের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পনিরসেলভাম।
১৭) জুন ২৩, ২০২২ সাল- ডিভিশন বেঞ্চ জেনারেল কাউন্সিল চালানোর নির্দেশ দেয়। নির্দেশ দেওয়া হয় ইউনিটিরি লিডারশিপ নিয়ে কোনও আলোচনা চলবে না।
১৮) জুলাই ১১ ২০২২ সাল- মাদ্রাজ হাইকোর্ট জেনারেল কাউন্সিলের অনুমতি দিল। ও পনিরসিলভমকে দল থেকে বিহিস্কার করা হল। পালানিস্বামীকেই দলের অন্তবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হল।
(Source: oneindia.com)