কাদাস্রোত এখন প্রায় পাথর, অমরনাথ বিপর্যয়ে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

কাদাস্রোত এখন প্রায় পাথর, অমরনাথ বিপর্যয়ে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ

শ্রীনগর : বিপর্যস্ত অমরনাথের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান চলছে গত তিন দিন ধরে ৷ তবে শুক্রবারের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে এখনও অবধি যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদের জীবিত উদ্ধার করার আশা ক্রমেই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে বলে ধারণা অধিকারিকদের (Amarnath Cloudburst Rescue) ৷ ইতিমধ্যে সোমবার থেকে আবার শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা ৷ পহলগাঁও রুটে প্রথম বেসক্যাম্প নুনওয়ান এবং পবিত্র গুহার আগে শেষ বেসক্যাম্প পঞ্চতারনি থেকে এগিয়েছে পুণ্যার্থীদের যাত্রা ৷ অন্তত ৫ হাজার পুণ্যার্থী সোমবার দর্শন করেছেন পবিত্র গুহায় ৷ এই নিয়ে এ বার পবিত্র গুহায় পৌঁছলেন অন্তত ১ লক্ষ ২০ হজার পুণ্যার্থী ৷

গত ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যে আধিকারিকরা উদ্ধারপর্ব পরিচালনা করছেন তাঁদের ধারণা কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ জন পুণ্যার্থীর জীবন্ত সমাধি হয়েছে কাদাস্রোত ও ধ্বংসস্তূপে (Amarnath Cloudburst 2022) ৷ তাঁদের জীবিত থাকার আশা কার্যত নেই ৷ আধিকারিকদের কথায়, ‘‘যে ভূভাগে তাঁরা চাপা পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে সেগুলি পাথরে রূপান্তরিত হয়েছে ৷ যদি আমরা ড্রিল করেও ওই অংশ থেকে আংশিক খননে উদ্ধারকাজ চালাই, তা হলেও অনেক সময় লেগে যাবে ৷ এখানে যাঁরা আটকে আছেন, তাঁদের জীবিত বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা হয়তো নেই৷’’ তাঁরা এও জানিয়েছেন কতটা এলাকা জুড়ে কত গভীরতা অবধি এবং কত ক্ষণ ধরে তাঁদের খনন কাজ চালিয়ে যেতে হবে, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না ৷ সেই তুলনায় বরং তাঁদের লক্ষ্য এখন সেই সব এলাকা যেখানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির হড়পাবানে প্রায় দু’ ডজন তাঁবু ও তিনটি লঙ্গর ভেসে গিয়ে জলস্রোতে হারিয়ে গিয়েছেন পুণ্যার্থীরা ৷

আরও পড়ুন : বাবা দিনমজুর, ২.৫ কোটির বৃত্তি নিয়ে দলিত পরিবারের কিশোরের গন্তব্য আমেরিকার নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

আরও পড়ুন :  দুই স্ত্রী মিলে স্বামীকে খুনের চক্রান্ত, ১৫ লক্ষ টাকার সুপারি! দিল্লির ঘটনায় হতবাক পুলিশও

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, উচ্চ অক্ষাংশে বিপুল জলরাশির স্রোত তার সামনে যা পেয়েছে টেনে নিয়ে চলে গিয়েছে ৷ মূলত সেই অংশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে অধিকাংশ নিথর দেহ ৷ তবে নীচের নদীস্রোত থেকে পাওয়া গিয়েছে অন্তত একটি দেহ ৷ যে নিহতদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে গত দু’দিনে কোনও দেহ উদ্ধার করা হয়নি ৷ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যেখানে খনন পর্ব সম্ভব, সেখানে তাঁরা স্নিফার ডগের উপর ভরসা রাখছেন ৷

এ ছাড়াও ধ্বংসস্তূপে প্রাণস্পন্দন নিশ্চিত করার জন্য তাঁদের কাছে আছে থার্মাল ইমেজার্স ৷ তবে আশঙ্কার কথা এই যে, নিখোঁজদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে কাজ করছে না রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ৷ কারণ তাঁরা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন ৷ পাশাপাশি, উদ্ধারকাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরূপ প্রকৃতিও ৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রায় প্রতি ১০ মিনিট অন্তর রূপ বদলাচ্ছে প্রকৃতি ৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury

(Source: news18.com)