শুধু ত্বক নয়, এমনকি চুল ও মাথার ত্বকও বৃষ্টির শিকার হয়। ঘামের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তাতে ধূলো মিশে ভীষণ খারাপ হয় চুলের অবস্থা। তবে কি চুলের সমস্যা থেকে মুক্তির কোনও পথ নেই? জেনে নিন চুল পড়া থেকে বাঁচার কিছু সহজ টিপস
১) এই বর্ষাকালে চুল ভিজে যাওয়ার প্রবণতা থাকায় চুল ঝরঝরে হয়ে যায় এবং এলোমেলো দেখায়। লোকেরা সাধারণত মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজ করে। তবে তেল কিন্তু চুলেও পুষ্টি জোগায়। চুল ধোয়ার পরে অ্যান্টি ফ্রিজ সিরাম ব্যবহার করুন।
২) যারা চুলে রঙ করেছেন তাদের জন্য একটি বিশেষ সতর্কতা। চুলের রঙের ফলে দীর্ঘায়ুও কমিয়ে দেয়। চুলের রঙ রক্ষার জন্য তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বাইরে বেরলে আপনার চুল বাঁচাতে একটি সুন্দর ছাতা ব্যবহার করুন।
৩) মাথার ত্বকের সাধারণ সমস্যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল খুশকি। পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে দ্রুত খুশকি নিরাময় হয়। সপ্তাহে একবার কেটোকোনাজল, সেলেনিয়াম সালফাইড বা জিঙ্ক পাইরিথিয়ন যুক্ত মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে খুশকি অপসারণের পাশাপাশি নতুন খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
৪) আরেকটি সমস্যা মাথার ত্বক এবং চুলের তৈলাক্ততা বা আঠালোতা। বৃষ্টির জলের সাথে মিশ্রিত আদ্রতা মাথার ত্বকের তেল উৎপাদনের কারণ। এমন একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হালকা কিন্তু আপনার মাথার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। কন্ডিশনার শুধুমাত্র চুলের প্রান্তে লাগাবেন। অবশেষে, চুল শ্যাম্পু করার সময় এবং কন্ডিশনারটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলার পরে গরম জল দিয়ে ধুয়ে তারপর ঠান্ডা জলে দিয়ে পরিস্কার করুন।
৫) মাথার ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। চুল এবং মাথার ত্বকের একটি ভাল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখলে মাথার ত্বকের ছত্রাকের সংক্রমণ কম হয়। অ্যান্টিফাঙ্গাল লোশন ব্যবহার করতে হবে।
৬) চুল শুষ্ক এবং ঝরঝরে হওয়ার কারণে, এটি তার উজ্জ্বলতা এবং দীপ্তি হারায়। আধা কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার নিন এবং এক কাপ জল দিয়ে পাতলা করুন। শ্যাম্পু করার পর এটি চুলে ঢেলে দিন। এটি রোদে ক্ষতিগ্রস্ত শুষ্ক এবং ভঙ্গুর চুলের চকচকে ভাবকে ফিরিয়ে আনে।
৭) দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। চুলে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান এবং বায়োটিনের পরিপূরক গ্রহণ করুন। চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বায়োটিন ভিটামিনের অনেক মূল্য রয়েছে।