India
oi-Souptik Banerjee
বিগত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পত্তি যাতে আর ধ্বংস করা না হয় তা নিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং অন্যান্য রাজ্য যেন ব্যবস্থা নেয় এবং তা নিয়ে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয় তা নিয়ে মুসলিম পক্ষ আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। তা নিয়ে এদিন শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। সেই শুনানিতে কোর্ট বলল যে এই কাজে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে না।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে ধ্বংস স্থগিতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পাস করতে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখার আদেশ পাস করতে পারে না।বিচারপতি বি আর গাভাই এবং পি এস নরসিমার একটি বেঞ্চ পক্ষগুলিকে এই বিষয়ে আবেদনগুলি সম্পূর্ণ করতে বলেছে এবং বলেছে যে ১০ আগস্ট ধ্বংসের বিরুদ্ধে জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করবে।
বেঞ্চ বলেছে , “আইনের শাসন অনুসরণ করতে হবে, সেখানে এতে কোন বিরোধ নেই। কিন্তু আমরা কি একটি সর্বজনীন আদেশ পাস করতে পারি? যদি আমরা এমন একটি সর্বজনীন আদেশ পাস করি, তাহলে আমরা কি কর্তৃপক্ষকে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধা দেব না? “।
প্রয়াগরাজ হিংসায় ‘প্রধান অভিযুক্ত’ জাভেদ আহমেদের বাড়িটি বর্তমানে ভেঙে ফেলে প্রয়াগরাজ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (পিডিএ)। বাসভবনে ধ্বংসের নোটিশ দেওয়ার পরে এই কাজ করা হয়। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতে। হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সংঘর্ষ থামাতে বিজেপি ব্যবহার করেছিল বুলডোজার। চলতি মাসের শুরুর দিকে কানপুর ও প্রয়াগরাজে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভেঙে দেয় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার অপরাধেই বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রয়াগরাজে ছাত্র নেতা আফরিন ফতিমার বাড়ি বুলডোজারে গুড়িয়ে দেয় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের ভিত্তিতে আফরিনের বাবা তথা বাড়ির মালিক জাভেদ মহম্মদের নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছিল, আবসিক এলাকায় তাঁরা অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন। এই নোটিশগুলো জাভেদ মহম্মদ বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তাই তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নোটিশে বাড়িটি ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাভেদ মহম্মদ এই নোটিশের কোনও উত্তর দেননি। ১২ জুন বাড়িটি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
(Source: oneindia.com)