গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল নেত্রীর দেওয়া সেই স্লোগান শোনা গেল এনডিএ–এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর মুখে। রাজ্যের বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের কাছে ভোট চাইতে এসে ‘ভারতমাতা কি জয়’–এর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’–ও বললেন দ্রৌপদী মুর্মু। দ্রৌপদীর মুখে এই স্লোগান শুনে কিছুটা হলেও বিব্রত রাজ্যের বিজেপি নেতারা।
সম্প্রতি সায়েন্স সিটির কাছে একটি পাঁচ তারা হোটেলে বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনডিএ–এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন বিজেপির ৭০ জন বিধায়কের মধ্যে অসুস্থ থাকায় বৈঠকে আসতে পারেননি অশোক লাহিড়ী। পাশাপাশি অর্জুন পুত্র পবন সিংকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া বিধায়ক নীরজ জিম্বা, মুকুটমণি অধিকারী ও বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাও অনুপস্থিত ছিলেন। দুই সাংসদ রাজু বিস্ত ও ড. সুভাষ সরকারও উপস্থিত ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রৌপদী মুর্মু জানান, ‘বঙ্গ ও কলিঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক অনেকদিনের। আশা করছি, ২৯৪ জন বিধায়ক ও ৪২ জন সাংসদের সমর্থন পাব।’ এই সফরেই দ্রৌপদী মুর্মুর মুখে শোনা গেল ‘ভারতমাতা কি জয়, জয় ভারত, জয় বাংলা’ স্লোগান।
দ্রৌপদীর মুখে তৃণমূল নেত্রীর স্লোগানকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়। অনেকের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের মন জয় করতেই কি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি দিলেন এনডিএ–র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, বাংলায় বিজেপির যা শক্তি তার থেকেও বেশি ভোট দ্রৌপদী মুর্মু পাবেন এই রাজ্য থেকে। বিজেপি সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই রাতের মধ্যে বিজেপির ৬৮ জন বিধায়ককে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছে। পরের দিন ১৭ জুলাই মক পোলিংয়ের প্রশিক্ষণ হবে।