
#কলকাতা: রাজ্যের সমস্ত বিজেপি বিধায়কদের ১৬ জুলাই কলকাতায় হাজির থাকার নির্দেশ জারি করা হল দলের তরফে। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার ঠিক একদিন আগে ১৭ জুলাই রবিবার কলকাতায় হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। এই শিবিরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যে, কী ভাবে ভোট দিতে হবে। একেবারে হাতে-কলমে পাঠ দেবেন বিশেষজ্ঞরা। দলীয় জনপ্রতিনিধিদের একটি ভোটও যাতে নষ্ট না হয়, সেই কারণেই এই বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
রাজ্য বিধানসভার অনেক সদস্যই নতুন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। মূলত ভোট নষ্ট আটকাতেই আগামী রবিবার সম্ভবত নিজাম প্যালেসে হবে প্রশিক্ষণ বলে দলীয় সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক- সাংসদদেরও এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের আবেদন আগেই জানানো হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার আবেদন নিয়ে রাজনীতি করেছে বিজেপি। বেসরকারী হোটেলে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে ২৯৪ বিধায়কের সমর্থন চাইছেন বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী? এই প্রশ্ন তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আগে ওরা ওদের নিজেদের বিধায়কদের ভোটটা নিশ্চিত করুন। তৃণমূলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ওদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই’। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের একটি ভোটও যাতে নষ্ট না হয় তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্বাচনের দিন কেউ যাতে অনুপস্থিত না থাকে সে ব্যাপারে কার্যত হুইপ জারি করা হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে।
বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখন ৭০। যদিও মঙ্গলবার কলকাতার বেসরকারি বিলাসবহুল হোটেলে দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্বে কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদদের অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এ ব্যাপারে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের তরফে উপস্থিত থাকার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁরা গড়হাজির থাকলেন সে ব্যাপারে দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তবে আমরা আশাবাদী ভোটে সকলেই অংশ নেবেন’।
VENKATESWAR LAHIRI
