বন্যার জল পেরিয়ে নৌকা করেই বিয়ের পথে কনে, অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনায় হতবাক নেটিজেনরা

বন্যার জল পেরিয়ে নৌকা করেই বিয়ের পথে কনে, অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনায় হতবাক নেটিজেনরা

বিয়ের ফাঁড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়

তরুণীর পরিবারের ইচ্ছে ছিল সুষ্ঠুভাবে বিয়ে সম্পন্ন করার। কিন্তু কপালে যদি ভোগান্তি লেখা থাকে তাহলে হাজার চেষ্টা করেও তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর ঠিক তাই হল এই পরিবারের সঙ্গেও। বর কোনে তৈরি হয়ে ছিলেন। লগ্নও ছিল ভালো, দুই পরিবারের তরফ থেকে সব রকমের আয়োজনও সারা হয়েছিল। কিন্তু এতকিছুর পরেও বাধ সাধল প্রাকৃতিক বিপর্যয়। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বর্ষণে জলস্তর বাড়তে থাকে। এরপরেই হতাশ হয়ে পড়েন তরুণীর পরিবার।

নৌকায় চেপে কনের যাত্রা

কিন্তু সেক্ষেত্রে হাল ছাড়েননি বিয়ের কনে। ইচ্ছা থাকলে উপায় ঠিকই হয়, এই ভাবনাকে সামনে রেখেই সটান উঠে যান নৌকায়। আর সেই ছোট নৌকোয় করেই তরুণী নববধূর বেশে পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে বরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। শুধু তাই নয়, নৌকায় বসেই রীতি মেনে চলল গান বাজনা আর আনন্দ। নববধূর সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর তাঁদের এই উদ্যম দেখে হতবাক নেটিজেনরাও। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার লাইক আর কমেন্ট পড়েছে এই ভিডিওটিতে। এমনকি তরুণীর তারিফও করছেন অনেকে।

 কোনওমতে শেষরক্ষা

কোনওমতে শেষরক্ষা

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সমস্যা এড়াতেই নাকি প্রশান্তি ও অশোক দুজনেই জুলাই মাসে বিয়ের দিন ঠিক করে। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েন দুই পরিবার। এরপরেই প্রশান্তি কনের সাজেই বরের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সমস্ত নিয়ম পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিয়ে পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, সেই কারণে নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ে করতেই বরের বাড়িতে কনে উপস্থিত হন এইভাবেই।

 বন্যা কবলিত দক্ষিণ ভারত

বন্যা কবলিত দক্ষিণ ভারত

উল্লেখ্য, ৩৬ বছর পর অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন সেই রাজ্যের একাধিক মানুষ। অবস্থা যে পর্যায়ে গিয়েছে তাতে গোদাবরী নদীর জলস্তর ঘন্টায় ঘন্টায় ভয়ানক হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অতি বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির বিষয় নিয়ে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মহন রেড্ডি।