দুর্নীতি ইস্যুতে দলীয় মন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ বঙ্গ বিজেপির

দুর্নীতি ইস্যুতে দলীয় মন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ বঙ্গ বিজেপির

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা-  প্রসঙ্গ- দুর্নীতি। অস্বস্তিতে পড়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীর চঞ্চল্যকর দাবি খারিজ বঙ্গ বিজেপির (BJP)। বাংলার পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ নেই। কলকাতায় এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাটিল।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক বা ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল, দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে সরকার তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য পদ্ম শিবিরের নেতারা প্রতিনিয়ত আক্রমণ শানিয়ে সরব হন। শুধুমাত্র বঙ্গ বিজেপির নেতারাই নন, বিজেপির প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখেও শাসক দল তথা সরকারের দুর্নীতির কথা শোনা যায়। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এই প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারেরই মন্ত্রীসভার পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবি ছিল, ‘‘এখনও কিছু জানা নেই। কোনও অভিযোগ পাইনি।আপনারা কিছু জানলে বলুন। তদন্ত করে দেখব।’

আর খোদ কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর এই মন্তব্যে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে দলীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের দাবিকে উড়িয়ে দিল রাজ্য বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘উনি তো প্রতিমন্ত্রী। উনি জানেন না। ক্যাবিনেট মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে জিজ্ঞেস করুন, সব দুর্নীতির কথা জানতে পারবেন।পঞ্চায়েতে ভুরিভুরি দুর্নীতির কথা আমরা লিখিতভাবে দিল্লিকে জানিয়েছি। দুর্নীতি হয়েছে এটা স্পষ্ট। অপেক্ষা করুন, ঠিক সময় সব জানতে পারবেন’। বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সম্প্রতি দুর্নীতির নজরদারিতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক প্রতিনিধিদল। সেই প্রতিনিধি দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বিডিওদের দেওয়া পার্টিতে ফুর্তি করে রাজ্যকে সার্টিফিকেট দিয়ে চলে গেছে ওরা’। আর এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘রাজ্য প্রশাসন তথা বিডিওরা বর্তমানে দলদাসে পরিণত হয়েছে। সরকার দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চাইছে।’’ সুকান্ত মজুমদারের এও দাবি, ‘‘সব আধিকারিকরা তো সমান হয় না। কেন্দ্রের কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বাংলার গ্রামেগঞ্জে পঞ্চায়েত স্তরে যে দুর্নীতি হয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।’’

Published by:Siddhartha Sarkar

(Source: news18.com)