লন্ডন: ঋষি সুনক (rishi sunak) বাদে যাঁকে মনে হয় তাঁকে সমর্থন করুন। সূত্রের খবর, দলে নিজের সমর্থকদের এমনই বলেছেন ব্রিটেনের (britain) কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী (prime minister) বরিস জনসন (boris johnson)। এখনও পর্যন্ত সে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দৌড়ে ইনফোসিস (infosys) কর্তা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনকের ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জ্বল। সেটাই সম্ভবত না-পসন্দ জনসনের।
জনসনের অসন্তোষ কেন?
গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। দলীয় সূত্রে খবর, তার পর থেকেই টোরি পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কোনও অবস্থাতেই যেন প্রাক্তন ‘চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকর’ ঋষিকে সমর্থন না করা হয়। নেপথ্যে মূল কারণ একটাই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের বড় অংশের ব্যাখ্যা, এই ঋষির কারণেই নিজের দলের অন্দরে জনপ্রিয়তা খুইয়েছেন জনসন। তাই এই ভারতীয় বংশোদ্ভূের উত্থান কিছুতেই মানতে নারাজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। প্রকাশ্যে অবশ্য অন্য কথা বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা কোনও নেতাকেই সমর্থন করবেন না বা কোনও ভাবে এই ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন না-এটাই প্রকাশ্য অবস্থান জনসনের। কিন্তু গোপনে অনেক কিছুই চলছে বলে খবর।
কী করেছেন জনসন?
সূত্রের খবর, বিদেশসচিব লিজ ট্রাসকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশান্বিত জনসন। ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় তাঁর সবচেয়ে বড় সমর্থক জেকব রিজ-মগ এবং নাদিন ডরিসও সম্ভবত ট্রাসকে সমর্থন করবেন। পেনি মরডোন্ট অর্থাৎ জুনিয়র ট্রেড মিনিস্টারকেও প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে রাজি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সুনককে কোনও মতেই পছন্দ নয় তাঁর। শোনা যাচ্ছে, ‘এনিওয়ান বাট ঋষি’ নামে গোপন প্রচার চালাচ্ছে জনসন-শিবির। যে ভাবে সুনক ‘চ্যান্সেলর’ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তাতে যারপরনাই আহত বরিস। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের গোটা টিমই ঋষি সুনককে অপছন্দ করে, বিষয়টা এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। দাবি এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রের। তবে প্রথম দুরাউন্ডের ভোটে জেতায় এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর সম্ভাবনাই সবচেয়ে উজ্জ্বল বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বেশ কয়েকটি বিতর্কে অংশ নিতে হবে সুনককে। এমন অবস্থায় এই ধরনের প্রচারের জল্পনায় পাত্তা দিতে নারাজ ভারতীয় বংশোদ্ভূতের টিম।
বাকিটা সময়ই বলবে।