
#কলকাতা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা গেরুয়া শিবিরে। ইতিমধ্যেই দলীয় প্রার্থীকে ভোট দান থেকে কেউ যেন বিরত না থাকে সে ব্যাপারে কার্যত হুইপ জারি করা হয়েছে দলের তরফে।
শনিবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘লোকসভা আছে। তা ছাড়া দু’দিন আগে যেতে হচ্ছে কারণ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে আজ এবং আগামিকাল সমস্ত সাংসদদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হবে।’
দলীয় রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর বিপুল মার্জিনে জয় এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করে সুকান্ত মজুমদার এখনও আশাবাদী বাংলার তৃণমূল বিধায়ক -সাংসদদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে। একদিকে যখন বাংলার গেরুয়া শিবিরের সাংসদরা একে একে পৌঁছচ্ছেন দিল্লিতে। ঠিক তখনই বাংলার গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের কলকাতায় একত্রিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
আগামিকাল রবিবার কীভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে হবে সে বিষয়ে একেবারে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের। আজ, শনিবারের মধ্যে বিজেপি বিধায়কদের কলকাতায় হাজির থাকার নির্দেশও জারি করা হয়েছে। ১৮ জুলাই সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার ঠিক একদিন আগে ১৭ জুলাই রবিবার কলকাতায় হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। এই শিবিরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যে, কী ভাবে ভোট দিতে হবে। একেবারে হাতে-কলমে পাঠ দেবেন অভিজ্ঞরা।
বিজেপি সূত্রের খবর, দলীয় জনপ্রতিনিধিদের একটি ভোটও যাতে নষ্ট না হয়, সেই কারণেই এই বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। রাজ্য বিধানসভার বেশিরভাগ সদস্যই নতুন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। মূলত ভোট নষ্ট হওয়া আটকাতেই আগামিকাল রবিবারের প্রশিক্ষণ শিবির বলে দলীয় সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখন ৭০। যদিও মঙ্গলবার কলকাতার বেসরকারি বিলাসবহুল হোটেলে দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্বে কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদদের অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
