‘আত্মহত্যার Live’ ভিডিও কলে চমক! স্বপ্ন উড়ান ছেড়ে মৃত্যু বেছে নিল একাদশের ছাত্রী

‘আত্মহত্যার Live’ ভিডিও কলে চমক! স্বপ্ন উড়ান ছেড়ে মৃত্যু বেছে নিল একাদশের ছাত্রী

#কলকাতা: কিছুদিন আগেই ভিডিও কল করে পরিবারের সবাইকে ‘আত্মহত্যার’ ছবি দেখায় হরিদেবপুরে ব্রতচারী স্কুলের ছাত্রী (Haridevpur Suicide)। সে যাত্রা বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা কিন্তু হল না। হাসপাতালে চিকিৎসার পরে বাড়িতে ফিরে তিন দিন পরই আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী, মাত্র ১৭ বছর বয়সি কিশোরী, মামুন দাস। ঘুমের ওষুধ খেতে আত্মঘাতী হয়েছে সে। তেমনই দাবি পরিবারের। মর্মান্তিক ঘটনাটি স্তব্ধ করে দিয়েছে হরিদেবপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের (Kolkata News)।

হরিদেবপুরে নবপল্লীর বাসিন্দা মামন দাস। গত ১০ তারিখে ঘুমের ওষুধ খায় সে। পরিবারের লোকজন জানায় আর্থিক অনটনের জন্য পড়াশোনার বই কিনতে পারছিল না বছর সতেরোর কিশোরী। ফলে পড়াশোনাও ঠিক মতো করতে পারছিল না। এমনকি চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিয়ে ট্রেনিং নেয় সে (Haridevpur Suicide)। কিন্তু কিছুতেই কিছু করে উঠতে পারেনি মামুন। আর তার থেকেই অবসাদের সূত্রপাত বলেই দাবি মামুনের পরিবারের।

বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, “জীবনে একের পর এক ব্যর্থতা থেকেই ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিল মামুন। ছাত্রীর মা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে ঘুম না হওয়ায় ওষুধ খাওয়া শুরু করেছিল মেয়ে। ১০ তারিখ ঝগড়ার পর ঘর থেকে বেরিয়ে যায় মামুন। সেসময় বাড়ির লোকও বিশেষ কিছু ভাবেননি। এরপর মামুন তার ভাইকে ভিডিয়ো কল করে ঘুমের ওষুধ খায়। পাড়ার অদূরেই একটি ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে একাজ করে সে (Haridevpur Suicide)।

নবপল্লীতে স্থানীয় কালী মন্দিরের সামনে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় মামুন দাসকে। পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে এসে তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তারপরে বিদ্যাসাগর হাসপাতাল থেকে বন্ডে সই করে ১৩ তারিখ বাড়িতে আসে মামুন। কিন্তু এরপর আবারও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। ১৫ জুলাই তার মৃত্যু হয়।

হরিদেবপুর নবপল্লির বাসিন্দা মামন দাস ব্রতচারী স্কুলে পড়াশোনা করত। সঙ্গে সে স্বপ্ন দেখত, উচ্চ মাধ্যমিকের পর বিমান সেবিকা হওয়ার জন্য পড়াশোনা করবে। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিল মেয়েটি। সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগে একটি ইন্সস্টিউটে ভর্তি হয়েছিল সে। ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। বাকি ছিল ৩ লক্ষ টাকা। সেই টাকাই জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তার বাবা-মা (Haridevpur Suicide)। টাকার অভাবে তার বইপত্র ঠিকঠাক কেনা হচ্ছিল না। পরিবারের দাবি, এই কারণেই গত কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল মামুন। যার পরিণতি যে এমন হবে তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউই।

অর্পিতা হাজরা

Published by:Sanjukta Sarkar

(Source: news18.com)