#লন্ডন: রবিবার ম্যানচেস্টারের ঐতিহ্যবাহী ওল্ড ট্র্যাফোর্ড মাঠে টস জিতে যখন ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিত শর্মা, তখন অনেকেই আশ্চর্য হয়েছিলেন কেন এমন সিদ্ধান্ত। তবে ভারতীয় বোলারদের দাপট বেশ ভাল ছিল এই ম্যাচে। বিশেষ করে হার্দিক পান্ডিয়া চারটি উইকেট নিলেন। তাকে যোগ্য সহায়তা করলেন চাহাল এবং সিরাজ। পিঠে চোট লাগার জন্য আজ শেষ মুহূর্তের খেলতে পারেননি বুমরাহ। কিন্তু তার অভাব সেভাবে বুঝতে দেননি বাকিরা।
ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিশাল বড় রান কেউ করতে না পারলেও, রয় ( ৪১), বেন স্টোকস (২৭), বাটলার (৬০), মইন আলি (৩৪) মিলে ইংল্যান্ডকে একটা লড়াকু প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দিলেন। ২৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত শুরু থেকে চাপে পড়ে যায়। শিখর ধাওয়ান (১) চূড়ান্ত ব্যর্থ আবার। রোহিত শর্মা (১৭) বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরে গেলেন।
দেখে মনে হচ্ছিল বিরাট কোহলি বোধ হয় আজকে বড় রান করবেন। তিনটে বাউন্ডারিও মারলেন। কিন্তু তারপরেই ছন্দপতন। সেই বাইরের বলে খোঁচা। ১৭ করলেন বিরাট। তিনটে উইকেট তুলে নিলেন রিস টপলে। আজকেও তার বাউন্স চাপে ফেলল ভারতকে। সূর্য কুমার যাদব (১৬) করে আউট হলেন। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত চাপে ছিল ভারত।
Rishabh Pant, you beauty!
Take a bow 💯💥👏#TeamIndia #ENGvIND pic.twitter.com/6bB6JWV8LW
— BCCI (@BCCI) July 17, 2022
মনে হচ্ছিল এই ম্যাচটা হারা নিশ্চিত ইন্ডিয়ার কাছে। কিন্তু এরপর একটা পার্টনারশি তৈরি করলেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ঋষভ পন্থ। ধৈর্য ধরে, উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিলেন। সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। লুজ বল পেলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ হল। ডানহাতি হার্দিক এবং বাঁহাতি ঋষভ পন্থ ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন। পায়ের তলার মাটি শক্ত করলেন।
দুর্দান্ত কিছু শট মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। দশটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত কর্সের বলে ক্যাচ আউট হলেন বেন স্টোকসর হাতে। ততক্ষণে অন্যদিকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। প্রতিমুহূর্তে তাকে উদ্বুদ্ধ করছেন হার্দিক।
ঋষভ বিদেশের মাঠে বড় ইনিংস খেলতে পারেন টেস্ট ক্রিকেটে প্রমাণিত হয়েছে আগেই। আজ দেখালেন একদিনের ক্রিকেটেও তিনি কতটা ভয়ংকর হতে পারেন। একটু ধৈর্য দেখাতে পারলে এবং দায়িত্ব নিলে ঋষভ পন্থ ম্যাচ উইনার তাতে সন্দেহ নেই। হার্দিক যখন আউট হলেন তখন জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৫৫ রান।
ব্যাট করতে এলেন রবীন্দ্র জাদেজা। একবারের জন্য ও ভয় পেলেন না ঋষভ। উল্টে আক্রমণের তেজ বাড়িয়ে দিলেন। যখন ৩৫ রান মত বাকি, তখন ইংরেজ বোলারদের নিয়ে ছেলে খেলা করলেন। মাঠের চারিদিকে অনায়াস দক্ষতায় বল পাঠালেন।