মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তৃণমূল (TMC) বিধায়কদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপে গ্রেফতার অভিযুক্ত। ধৃতের দাবি, তিনি ভুল বোঝাবুঝির শিকার। ধৃতের ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
কী বলছেন তৃণমূল বিধায়ক: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) ভোট দিতে হবে। কথা বলতে হবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে। না মানলে, CBI-ED’র মুখে পড়তে হবে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে, এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
র অভিযোগের ভিত্তিতেই, সঞ্জয় সিং নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিধায়কের দাবি, ধৃত ব্যক্তি একটি দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কথায়, আমাকে ফোন করে বলে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্তী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিতে হবে। তিনি বলেন, এর জন্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি বলি, আমি তৃণমূল করি, কেন বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলব? এরপরই সিবিআই – ইডি নিয়ে ভয় দেখান।
কী দাবি বিজেপির? পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের দাবি, দৈনিক সংবাদপত্রের এই সাংবাদিক, জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংকেও ফোন করে একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, আমার সঙ্গে জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং-এর দেখা হয়েছিল। ওকেও ফোন করে। তাঁকেও দল থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে বলে। গোটা বিষয়ের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে বিজেপি।
এ দিকে তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে, স্টিল টাউনশিপের বাড়ি থেকে সঞ্জয় সিং নামে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর অবশ্য দাবি, ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছেন তিনি। ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে, তাঁকে ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
(Source: abplive.com)