#কলকাতা : স্কুলগুলিতে গ্রুপ সি,গ্রুপ ডি নিয়োগ বিতর্কের মাঝেই এবার রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্লার্ক পদে নিয়োগের তৎপরতা শুরু করল উচ্চশিক্ষা দফতর। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর আইন সংশোধন করে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্লার্ক পদের নিয়োগের ক্ষমতা দিয়েছে। তারপরই এবার নিয়োগের বিধি তৈরির তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে তা প্রস্তুত করেও ফেলেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। দ্রুত তা কলেজ সার্ভিস কমিশনকে পাঠাতে চলেছে দফতর। নিয়োগের বিধি পেলেই কলেজ সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি দেবে রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্লার্ক পদে নিয়োগের জন্য (Clerk Recruitment | West Bengal News)।
এই প্রথম রাজ্য কলেজ গুলিতে ক্লার্ক পদের নিয়োগ করবে কলেজ সার্ভিস কমিশন। আর তাই নিয়োগের বিধি তৈরি নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক রাজ্য। সূত্রের খবর দুটি পর্যায় পরীক্ষা হবে এই নিয়োগের জন্য। মূলত কলেজগুলিতে হেড ক্লার্ক, একাউন্টেন্ট, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এই পদ গুলিতে নিয়োগ হবে। তার জন্য নিয়োগের যোগ্যতাও আলাদা আলাদা রাখা হয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুটি পর্যায় পরীক্ষা নেওয়া হবে (Clerk Recruitment | West Bengal News)।
সূত্রের খবর প্রথম পর্যায় ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই লিখিত পরীক্ষায় ওয়েমার সিট এ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে ইন্টারভিউ ও একাডেমিক স্কোর দেখা। তবে সেক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবেই সেই প্রার্থী ইন্টারভিউতে ডাক পাবে। ইন্টারভিউ এর জন্য বরাদ্দ থাকবে ১৫ নম্বর। একাডেমিক স্কোর কেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই নিয়োগের জন্য এই বিধি প্রস্তুত করে ফেলেছে রাজ্য। শীঘ্রই তা কলেজ সার্ভিস কমিশনকে পাঠাবে যাতে কমিশন দ্রুত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মেনে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে।
মূলত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্লার্ক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। যদিও ২০১৩-১৪ সালের দিকেই এই সংশোধন হলেও তা কার্যকরী করেনি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সেই আইন সংশোধনকেই কার্যকর করেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে গ্রুপ সি,গ্রুপ ডি,নবম- দশম শ্রেণীর নিয়োগ নিয়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এক্ষেত্রে রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্লার্ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে রাজ্য তেমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়