দাঁত, নখ বের করেছে করোনার নতুন স্ট্রেন বিএ.৫। সংক্রমণের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। টিকা নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এমনকী যাঁরা আগে বিএ.১ কিংবা বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদেরও নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএ.৫ স্ট্রেন দ্রুত ছড়াচ্ছেও। তবে আশার কথা হল, এই ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর নয়।
নতুন ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে খারাপ লক্ষণ : বিএ.৪ এবং বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ আগের সাব ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই। আগের স্ট্রেনগুলোর মতো গুরুতর নয়, তাড়াতাড়ি সেরেও যায়। নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে খারাপ উপসর্গ হল মারাত্মক গলা ব্যথা। কয়েক মাস আগেও গলা ব্যথাকে খুব একটা পাত্তা দিত না মানুষ। তবে এখন এটাই করোনার লক্ষণ হতে পারে।
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো বিএ.৫-ও প্রাথমিকভাবে উপরের শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। গলা ব্যথা, নাক বন্ধের মতো সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা যায়। এতে বোঝা যায় ভাইরাস নাক এবং শ্বাসনালীতে প্রবেশ করেছে। তবে ডেল্টার মতো ওমিক্রনের ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সম্ভাবনা কম।
করোনার গলা ব্যথার মোকাবিলা কীভাবে: গলা ব্যথা হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। যেহেতু গলা ব্যথা কোভিডের লক্ষণ তাই পরীক্ষা করানো এবং নিজেকে কোয়ারেন্টাইন করা জরুরি। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঘরে রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। ঘরোয়া প্রতিকার, যেমন গরম জলে গার্গল করা, কুসুম-কুসুম গরম জল বা মধু দিয়ে চা পানও ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।
গবেষণা কী বলছে : ২০২২-এর এপ্রিলে বিএমজে জার্নালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডেল্টা ওয়েভের তুলনায় ওমিক্রনে গলা ব্যথা বেশি হচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রামিতদের গলা ব্যথার সম্ভাবনা ২৪ শতাংশ বেশি। ডেল্টার সময় মূলত ৩টি প্রধান উপসর্গ ছিল- জ্বর, গন্ধ চলে যাওয়া এবং ক্রমাগত কাশি। এবার এই লক্ষণগুলো তুলনামূলকভাবে কম দেখা যাচ্ছে। গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ কম। দ্রুত সেরে ওঠার সম্ভাবনাও ২.৫ গুণ বেশি।
ওমিক্রনের অন্যান্য লক্ষণ : গলা ব্যথা ছাড়াও, অন্যান্য সাধারণ ওমিক্রন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশি, ক্লান্তি, এবং সর্দি। এর কারণ হল ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের সঙ্গে তার প্রবেশের পয়েন্টে অর্থাৎ নাকেই লড়াই করতে সক্ষম।