কী বলছে সমীক্ষা
১৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণ সমাজের প্রায় ১৭.২ শতাংশ নাগরিক অবিবাহিত থাকার পক্ষে সায় দিয়েছিলেন। সেখানে ২০১৯ সালে ২৩ শতাংশ যুবক যুবতী মনে করছেন, তাঁরা অবিবাহিত থাকলে বেশি ভালো থাকবেন। জাতীয় জনপরিসংখ্যান প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা ছিল ২০.৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.১ শতাংশ। মহিলাদের ক্ষেত্রেও বিয়ে না করার একটা প্রবণতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ২০১১ সালের ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে যেখানে ১৭.৫ শতাংশ তরুণী অবিবাহিত ছিলেন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৯ শতাংশে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে সব থেকে বেশি অবিবাহিত পুরুষ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশে অবিবাহিত যুবকের হার অপেক্ষাকৃত কম। যদিও কারণ হিসেবে রিপোর্টে কিছুই জানানো হয়নি।
শিক্ষিত মহিলাদের বেড়েছে বিয়ের বয়স
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাল্য বিবাহের হারও উল্লেখযোগ্যহারে কমছে। পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ছে। ২৫-২৯ বছরের তরুণীদের মধ্যে প্রথম বিয়ের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ বছরের মধ্যে ৫২.৮ শতাংশ মহিলা প্রথমবারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। সেখানে ২০০৫-২০০৬ সালে সেই হার ছিল ৭২ শতাংশের ওপর। দেখা গিয়েছে, শিক্ষিত মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৯-২১ সালের সমীক্ষায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে ২৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণীদের মধ্যে যাঁরা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন বা তার থেকে বেশি শিক্ষিত, তাঁদের বিয়ের বয়স ৫.৫ বছর বেড়েছে। অন্য দিকে, যে সব মহিলারা স্কুলে যেতে পারেননি, তাঁদের বিয়ের গড় বয়স ১.২ বছর বেড়েছে। যাঁরা প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, সেই সব মহিবলাদের বয়স ১.৫ থেকে ২ বছর বেড়েছে।
হ্রাস পেয়েছে কিশোরী মাতৃ্ত্বের হার
দেশে ১৮ বছরের নীচে মেয়েদের বিয়ে গত ১৫ বছরে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ২০-২৪ বছরের মেয়েদের বিয়ের হার ২০০৫-০৬ সালে ৪৭ শতাংশ ছিল। ২০১৯-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশ। পাশাপাশি ২০৫-০৬ সালে কিশোরী মাতৃত্বের হার ছিল ১৬ শতাংশ। ২০১৯-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ। বর্তমান প্রজন্মের তরুণীদের মধ্যে সাবলম্বী হওয়ার দিকে ঝোঁক বেড়েছে।