#কলকাতা: বর্তমানে বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের (Mutual Fund) বিভিন্ন ধরনের স্কিম রয়েছে। ভবিষ্যতে ভালো রিটার্ন পাওয়ার আশায় বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে, সেই সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে এই পাঁচটি প্রশ্ন অবশ্যই করা উচিত। কারণ এর ওপরে নির্ভর করছে মিউচুয়াল ফান্ডের গুণগতমান এবং বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন।
ফান্ডের লক্ষ্য –
মিউচুয়াল ফান্ডের যে স্কিমে বিনিয়োগ করা হবে, সেই ফান্ডের লক্ষ্য বিনিয়োগের লক্ষ্যের সঙ্গে এক রয়েছে কি না সেটি জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে কি নিয়মিত উপার্জন সম্ভব, বিনিয়োগকারীর সুবিধামতো সময় অনুযায়ী কি এই ফান্ডে বিনিয়োগ করা সম্ভব, এছাড়াও অন্যান্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কি কাজ করবে এই ফান্ডে বিনিয়োগ- এই সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নিয়ে তবেই এগোনো উচিত।
ফান্ডের রিস্ক –
বাজারের ওঠা-নামার ওপর মিউচুয়াল ফান্ড নির্ভর করে। এই জন্য খুব ভালো করে বিবেচনা করে মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেওয়া প্রয়োজন। বাজারের ওপর ভিত্তি করে মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন নির্ভর করে, তাই সব কিছু দেখেই ফান্ডে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।
ফান্ড কীভাবে কাজ করে –
যে ফান্ডে বিনিয়োগ করা হবে, সেই ফান্ডের অতীত ভালো করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ বিগত বছরগুলোতে এই ফান্ড কেমন পারফরম্যান্স করেছে, এই ফান্ডে কত টাকা বিনিয়োগ করে কত টাকা রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে এবং এই ফান্ড কী কী সুবিধা দিয়েছে জানা দরকার। এছাড়াও এই ফান্ড কত শতাংশ হারে সুদ দিয়েছে ইত্যাদি সব কিছু দেখে নেওয়া দরকার। বিগত বছরে এই ফান্ডের পারফরম্যান্স কেমন সেটি খুব ভালো করে দেখে নেয়া প্রয়োজন। কারণ বিগত বছরের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করবে ফান্ডের এই বছরের পারফরম্যান্স। এক্ষেত্রে কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ফান্ডের কস্ট –
ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে দেখে নিতে হবে সেই ফান্ডের কস্ট এবং খরচ। কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক ধরনের ফান্ডে বিভিন্ন ধরনের চার্জ রয়েছে। কিন্তু আগে থেকে সেগুলো বলা হয় না। পরবর্তীকালে ফান্ডে বিনিয়োগ করার পর দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের চার্জ কাটা হচ্ছে। তাই আগে থেকেই জেনে নিতে হবে কোন ফান্ডে কী কী চার্জ কাটা হয়।
ফান্ড কে ম্যানেজ করে –
মিউচুয়াল ফান্ডের সাফল্য নির্ভর করছে পোর্টফোলিও ম্যানেজারের স্কিলের ওপর। কারণ তারাই বিভিন্ন ধরনের স্কিম বেছে দেয় বিনিয়োগকারীদের। এক্ষেত্রে কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করলে কত টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে, কোন ফান্ডে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং কীভাবে বিনিয়োগ করতে হবে ইত্যাদি সব কিছুই একজন পোর্টফোলিও ম্যানেজার ভালো বলতে পারে।